বিশ্বে অনেকেই আছেন, যারা যে কোন ঘটনা বা বিষয়বস্তুর পুঙ্খানুপুঙ্খ চমৎকারভাবে মনে রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে অনেকে ভাবেন, তাদের মেধা বোধহয় কম। যদিও এর উত্তর হবে 'না'। আপনার মেধা অবশ্যই কম নয়। আসলে সবার মস্তিষ্কের গঠন এক রকম নয়। তাই সবাই একভাবে সবকিছু মনে রাখতে পারেন না। তবে বেশকিছু সহজ কৌশল আছে, যেগুলি অবলম্বন করে আপানিও নিজের মনে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারেন।
প্রথমত, মানসিক চাপের মধ্যে বিষন্নতা সবচেয়ে মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। বিষন্নতা আপনার মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা কমিয়ে ফেলে এবং রক্তে করটিসলের লেভেল বাড়িয়ে দেয়। করটিসেলের লেভেল বেড়ে গেলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যায়।
দ্বিতীয়ত, নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এটি শুধু আপনার শরীরকেই সচল করে না, এটি আপনার মস্তিষ্ককেও সচল রাখে। স্থূলতা এবং অতিরিক্ত ওজন আপনার ব্রেইনের জন্যও ক্ষতিকর। নিয়মিত ব্যায়াম না করলে কিংবা শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো সচল না থাকলে রক্তবাহী নালীগুলো চর্বি জমে। ফলে স্বাভাবিক রক্তচলাচল ব্যহত হয়। মস্তিষ্কে রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবারাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মস্তিষ্কের কোষগুলি। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করুন, সচল রাখুন আপনার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো।
তূতীয়ত, নিয়মিত গান শুনুন। গবেষকরা জানিয়েছেন, কিছু গান আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।ব্যাপারটা এই রকম- কোন ঘটনার সময় আপনি যদি কোন গান শোনেন তবে পুনরায় সেই গান শোনার সময় সেই ঘটনার আবহের স্মৃতি আপনার মস্তিষ্কে জেগে উঠবে।
চতুর্থ, নিজে যা শিখতে চাইচ্ছেন, তা একবার শিখে নিয়ে অন্যকে শেখান। আরজনকে শেখাতে গিয়ে দেখবেন আপনার জানার ঘাটতিগুলো ধরতে পারছেন। আবার চর্চাও হবে আরেক জনকে শেখানোর মাধ্যমে। নতুন কিছু বিষয়ে আপনার কোন চিন্তা আরেকজনের সঙ্গে শেয়ারও করতে পারেন। তাহলে আপনার স্মৃতিতে তা স্থায়ী হবে।
পঞ্চম, পর্যাপ্ত ঘুমোন। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। একটা চমৎকার ঘুম আপনার মস্তিষ্ককে অধিক কার্যকরী করে তোলে। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct