আগেই উইঘুর মুসলিমদের অত্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। এবার বন্দিশিবিরে আটক মুসলিম মহিলাদেরকে জোর করে গর্ভপাত করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠল চিনের বিরুদ্ধে। ওই বন্দি শিবিরে একসময় বন্দি হয়ে থাকা অনেক মহিলা যারা কাজাখ বংশোদ্ভূত তারা এমন অভিযোগ তুলেছেন।
ওইসব মহিলারা চিনা সেনাবাহিনীর নির্যাতনের কথা ফাঁস করে দিয়েছেন কাতার ভিত্তিক নিউজ চ্যানেল আল জাজিরা টিভির কাছে। তারা পরিচয় প্রকাশ করতে ভয় পেলেও আল জাজিরার সাংবাদিম ওসামা বিন জাভিদ চিনের সংখ্যালঘু কাজাখ মুসলিম সম্প্রদায়ের কয়েকজন মহিলার সঙ্গে কথা বলেছেন। তারাই চিনা সেনাবাহিনীর অত্যাচার সামনে এনেছেন।
গুলজিরা নামে এক মহিলা যিনি চিনের বন্দিশিবির থেকে পালিয়ে এসেছেন তিনি জানান, তিনি গর্ভবতী জানতে পেরে জোর করে জোর করে চিনা সেনাবাহিনী তার গর্ভপাত ঘটিয়ে দেয়। গর্ভপাতের পর তারা তাকে একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কিছু ওষুধ দেয় কিন্তু তিনি জানতেন না সেগুলো কি জন্য।
উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক একটি কমিটি জানতে পারে, চিন সরকার উইঘুরদের স্বায়ত্তশাসিত এলাকাকে মূলত একটি বন্দিশিবিরে পরিণত করেছে। সেখানে ১০ লাখের মতো মুসলিমকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।
তবে জেনেভায় ২০১৮ সালের অক্টোবরে জাতিসংঘের এক অধিবেশনে চীনা কর্মকর্তা বলছেন, ১০ লাখ মুসলিম উইঘুরকে বন্দি শিবিরে আটকের রাখার খবর 'সম্পূর্ণ মিথ্যা।'
তবে পরবর্তীতে চীনের একজন কর্মকর্তা লিও শিয়াওজুন সাংবাদিকদের বলেছেন, চীন সেখানে কিছু প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলেছে যেখানে লোকজনকে নানা ধরনের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct