টোকিতে খুলেছে এক অভিনব রেস্তোরাঁ। বিশ্বে সর্ব প্রথম তারা খদ্দেরের পাতে তুলে দিচ্ছে মানুষের মাংস। ২০১৪ সাল থেকেই এই নিয়ম হামেহাল চালু জাপানে- বিশেষ কিছু শর্তাবলী সাপেক্ষে চাইলে খাওয়া যেতে পারে মানুষের মাংস। ফলে, টোকিওর এই রেস্তোরাঁর আইনসঙ্গতভাবে বাণিজ্যে কোনো অসুবিধা নেই। এই রেস্তোরাঁর নাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে।এই ভোজনালয়ের নাম রেখেছেন 'রিসোতো ওতোতো নো শোকু রিওহিন'! ইংরেজিতে তর্জমা করলে 'এডিবল ব্রাদার', অর্থাৎ 'ভাই ভক্ষণ'! এখন প্রশ্ন, এক ভাই কি অন্যের মাংস খেতে চাইবে? বিস্ময়ের ব্যাপার- খদ্দের জুটে যাচ্ছে।এডিবল ব্রাদার-এর প্রথম খদ্দের ছিলেন এক আর্জেটিনার পর্যটক। খেয়ে-দেয়ে খুব মন্দ কিছু কিন্তু তিনি বলেননি জাত ভাইয়ের মাংস সম্পর্কে। তবে সেটা সাধারণ মাংসের চেয়ে আরও একটু শক্ত বলে জানিয়েছেন তিনি। ওরা রান্না করেছেন নানা মসলাপাতি মিশিয়ে, ফলে মুখে দিয়ে খারাপ কিছু তো মনে হল না', অকপটে জানিয়েছেন সেই পর্যটক। টোকিওর এই রেস্তোরাঁ মানুষের মাংসের দাম ধার্য করেছে ১০০ থেকে ১০০০ ইউরো। এক টুকরো থেকে শুরু করে পুরো পদ পর্যন্ত এই দামের বিস্তার। যাতে যার যেমন ইচ্ছা, যতটা ইচ্ছা খেতে পারেন! বাকি থাকে একটাই প্রশ্ন। আইন সমর্থন করলেও এই মাংসের জোগান আসছে কোথা থেকে? রেস্তোরাঁ মালিক জানিয়েছে, একমাত্র ইচ্ছুক, মৃত্যুপথযাত্রী যুবক-যুবতীরাই তাদের মাংস জুগিয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে তারা একটি দানপত্রে আইন মেনে উল্লেখ করে যান রেস্তোরাঁর হাতে দেহ তুলে দেওয়ার কথা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct