হোয়াটসঅ্যাপকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বস্তি এলাকাতেই চলছিল যৌন ব্যবসা। ভেবে আবাক হচ্ছেন? এমনটাই ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতা ও দক্ষিণ শহরতলিতে।
যৌন পল্লিতে নিয়ে গেলে পুলিশ কিংবা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নজরে পড়ার ভয় থাকে যায়। তাই যৌন পল্লিতে না নিয়ে গিয়ে জনবসতি এলাকায় রাখলেই ধরা পড়ার ভয় কম। আর আবাসন কিংবা এলাকার বাসিন্দাদের নজর এড়াতে রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। তাতে কিশোরীর ছবি পাঠালেই ঠিকঠাক সময়মতো চলে আসবে 'খদ্দের'।
এভাবেই সকলের নজর এড়িয়ে চলছে যৌন ব্যবসা। গত কয়েক মাস ধরে কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় এবং দক্ষিণ শহরতলিতে কিশোরীদের দিয়ে এভাবেই চালানো হচ্ছিল যৌন ব্যবসা।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুলিশ, বারুইপুর পুলিশ ও কলকাতার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি জানিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে তাদের কাছে খবর আসছিল যে, শহরের বেশ কিছু জায়গায় এবং দক্ষিণ শহরতলির কয়েকটি আবাসনে কিছু লোক জোর করে আটকে রেখে কিশোরীদের যৌন ব্যবসায় নামতে বাধ্য করছে। খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের 'অ্যান্টি-হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিট'-কে সঙ্গে নিয়ে তারা বেহালা এলাকার একটি আবাসনে অভিযান চালায়।
সেখান থেকে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে
উদ্ধার হয়। উদ্ধারের পরে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটিকে ওই কিশোরী জানিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে দশ জন তার ওপরে যৌন নিগ্রহ চালাতো।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি জানায়, ২০১৬ সালে তাদের করা একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, যৌন ব্যবসার যে সামগ্রিক বিস্তার হচ্ছে , তার প্রায় ১৮ শতাংশই চলছে নাবালিকাদের দিয়ে বস্তি এলাকায়। এখন যৌন ব্যবসা চালাতে সোশ্যাল মিডিয়াকে খুব বেশি রকম ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে এলাকার লোকজনও সব সময়ে টের পাচ্ছেন না। বেহালা, বারুইপুর এবং বাটানগরেও এভাবেই চলছিল যৌন ব্যবসা।