রাষ্ট্রসঙ্ঘের পক্ষ থেকে জারি করা সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞাকে যুদ্ধের শামিল বলে অভিহিত করল উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপ পুরোপুরিভাবে অর্থনৈতিক অবরোধের সমতুল্য। উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ নিউজ এজেন্সি বিবৃতিতে রবিবার বলেছে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নতুন এই নিষেধাজ্ঞা উত্তর কোরিয়ার সার্বভৌমত্ব লংঘন করেছে। এর ফলে কোরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করছে। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রক রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে বলেছে, উত্তর কোরিয়ার পারমাণমিক শক্তি বৃদ্ধি করাই এখন লক্ষ্য যা আমেরিকাকে হতাশ করার একমাত্র উপায়। পিয়ংপিয়ং বলেছে, আত্মরক্ষার জন্য পারমাণবিক শক্তি-বৃদ্ধিকরণ অব্যাহত রাখবো।
উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্য দেশ শুক্রবার ভোট দেয় উত্তর কোরিয়ার উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য। তারপর রাষ্ট্রসংঘ উত্তর কোরিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে অতীতের তুলনায় এটি কঠোর নিষেধাজ্ঞা। এর প্রস্তাব পেশ করে আমেরিকাই। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আনা হয় এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়।
নিষেধাজ্ঞার ফলে উত্তর কোরিয়ায় পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্য ও অপরিশোধিত খনিজ তেল রফতানিতে ৯০ শতাংশ কমে যাবে।এছাড়া বিদেশে কাজ করা সব উত্তর কোরীয় নাগরিককে প্রাথমিকভাবে প্রস্তাব করা ১২ মাসের বদলে ২৪ মাসের মধ্যে দেশে ফেরত পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। প্রবাসী কর্মজীবীরা উত্তর কোরিয়ার বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস। এসব নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার বৈদ্যুতিক ও অন্যান্য যন্ত্রপাতিসহ পণ্য রফতানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নতুন করে এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে থেকেই দেশটির ওপর বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে আমেরিকা, রাষ্ট্রসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct