সম্প্রতি বিধানসভা উপনির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া বিহারের পূর্ণিয়া জেলার কিশানগঞ্জ কেন্দ্রে জয়লাভ করে সর্বভারতীয় মজলিসে-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন।
এর পরই হঠাৎ কোচবিহার জেলাজুড়ে দলটির রাজনৈতিক পোস্টারে ছেয়ে যায়। তাতে লেখা- 'অপেক্ষা শেষ, এবার মিশন পশ্চিমবঙ্গ'। কোচবিহারে প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে তা সম্ভবত চোখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের। এর ফলে ক্ষেপে ওঠেন মমতা।
তিনি দলের কর্মিসভায় অভিযোগ করেন , বিজেপির কাছ থেকে টাকা নেয় আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল সর্বভারতীয় মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন বা মিম। দলের নেতাকর্মীদের ওয়াইসির ব্যাপারে সতর্ক করেন তিনি। সরাসরি হায়দরাবাদের নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। যদিও মুখে ওয়াইসির নাম করেননি মমতা। নাম না করেই তিনি বলেন, 'ওরা বিজেপির কাছে টাকা নেন। সংখ্যালঘুরা ভুল করবেন না। ওদের বাড়ি হায়দরাবাদে। এখানে নয়।'
যদিও আসাদউদ্দিন ওয়াইসি মন্তব্য করেছেন, ভয় ও হতাশা থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের কথা বলেছেন। তিনি আরো বলেন, ‘বাংলার সংখ্যালঘুদের যে উন্নয়ন হয়নি, এটা বলার জন্য ধর্মীয় উগ্রপন্থার দরকার হয় না। হায়দরবাদের একটি গোষ্ঠী নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি এতই উদ্বিগ্ন, তা হলে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কীভাবে ৪২টির মধ্যে ১৮টি আসন পেল।’
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ওয়াইসির দল এ রাজ্যে সক্রিয় হলে তৃণমূলের মুসলিম ভোটে ভাগ বসাবে তারা। এর ফলে সুবিধা হবে প্রকৃতপক্ষে বিজেপির।
এভাবে ভোট কেটে মহারাষ্ট্রে সুবিধা করে দিয়েছে বিজেপিকে বলে অভিযোগ। এ রাজ্যেও ৫ শতাংশ ভোট কাটলে বিজেপির ব্যাপক সুবিধা হতে পারে। এর আগে অন্য রাজ্যেও মুসলিমরা অভিযোগ তুলেছিল, যেখানে বেশি প্রভাব নেই সেখানে প্রার্থী দিয়ে ওয়াইসি বিজেপির জয়ের পাঠ সোজা করছেন। এমনকি বিজেপি থেকে টাকা নেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের সুর এবার মমতার গলায়। রাজনীতিতে সবই হয়। বিজেপি ও ওয়াইসির মধ্যে এ নিয়ে সমঝোতা হয়েছে কিনা কে বলতে পারে। মুসলিম ভোট জাত মনে তৃণমূলকে বিপদে ফেলে বিজেপিকে সাহায্য করা এটাই হয়তো বলতে চেয়েছেন মমতা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct