জন্মনিয়ন্ত্রণ করার অনেক অনেক পদ্ধতি রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, প্রাচীনকালে মানুষ কিভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করতো? নাকি সেসময় জন্মনিয়ন্ত্রণ করাটাই মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল? না সেসময়ও মানুষ জন্মনিয়ন্ত্রণ করতো। প্রাচীনকালে মিশরের মহিলারা গর্ভধারণ এড়াতে ব্যবহার করতেন মধু। তারা মনে করতেন মধুর প্রলেপ থাকলে পুরুষের শুক্রানু মহিলা দেহের ভেতর প্রবেশ করতে পারবে না।.গ্রিসে আবার জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতিটা ছিল ভিন্ন। তাদের পুরুষেরা অলিভ অয়েল আর সিডারের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতেন। তারা মনে করতেন এই অলিভ অয়েল মিশ্রিত তেল শুক্রাণুকে দুর্বল করে দেয়। যা মহিলাকে গর্ভবতী হওয়া থেকে বিরত রাখে। সেই সময় আমেরিকাতে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বৈধ ছিল না। সেসময় বাজারে লাইসল নামে একটি পণ্য ব্যবহার করা হয়। যেটি মহিলা দেহের ভেতর গিয়ে খানিকটা অংশ জ্বালিয়ে দেবে আর নিরাপদভাবে নিশ্চিত করবে জন্মনিয়ন্ত্রণ। তবে, যতই নিরাপদ বলা হোক না কেন, এটি ব্যবহারে অনেকেই আহত হন। এমনকি মৃত্যুও হয় পাঁচজনের। মধ্যযুগে অযাচিত গর্ভধারণ রোধ করতে যৌনমিলনের আগে মহিলাদের ঘরের বাইরে গিয়ে কোনও নেকড়ের মূত্র ত্যাগ করার স্থানের ওপর মূত্র ত্যাগ করতে হতো। কিংবা ঘুরে আসতে হতো কোনও গর্ভবতী নেকড়ের মূত্রত্যাগের স্থান থেকে। গ্রিনল্যান্ডে মনে করা হতো মহিলাদের গর্ভবতী হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান চাঁদের। আর তাই গর্ভধারণ এড়াতে তারা চাঁদকেই এড়িয়ে চলতো। আবার চীনে গর্ভধারণ এড়ানোর জন্য পারদ আর তেলের মিশ্রণ পান করানো হতো। খালি পেটে মহিলাদের ওই মিশ্রণ খাওয়ানো হতো। তাদের ধারণা, এভাবে অসময়ে গর্ভধারণ এড়ানো যেত।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct