পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও আশঙ্কাজনক হারে প্রকোপ বাড়ছে ব্রেস্ট বা স্তন ক্যান্সারের। বলা হয়ে থাকে প্রতি ৮ জন মহিলার মধ্যে ১ জনের ব্রেস্ট ক্যান্সার হয়ে থাকে। এখানে প্রশ্ন, ব্রেস্ট ক্যান্সার কী শুধু মেয়েদেয় হয়? এর উত্তর না। ৯৯.৫% ক্ষেত্রে মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার হলেও ০.৫% ক্ষেত্রে পুরুষদেরও হয়। মূলত, ৩০-৬০ বছর বয়সী মহিলা ও পুরুষদের ব্রেস্ট ক্যান্সার হয়। এই রোগের কিভাবে ছড়ায়? চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পরিবারে যদি অন্য কারও হয়ে থাকে (মা, মাসি ইত্যাদি)। যারা হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নেন। জন্মনিরোধক ওষুধ খান। যাদের মাসিক আগে শুরু হয় এবং দেরিতে মাসিক বন্ধ হয়।যারা প্রথম বাচ্চা বেশি বয়সে নেন।যারা চর্বিযুক্ত খাবার বেশি খান।যারা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান না। এবং যাদের সন্তান নেই, তাদের সহজে ব্রেস্ট ক্যান্সার হতে পারে।
ব্রেস্ট ক্যান্সারের উপসর্গ কী ?
দুই ব্রেস্টের আকারে বা গঠনে কোনো পরিবর্তন। চাকা চাকা দেখা যাওয়া। স্তনবৃন্ত থেকে রস নিঃসৃত হওয়া। কখনও রক্ত নিঃসৃত হওয়া।নিপল ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া, নিপলে চির ধরা।বগলে চাকা চাকা কিছু দেখা যাওয়া। অনেক সময় ব্রেস্টের চামড়া গর্ত গর্ত হয়ে যায় ।এ ছাড়া ব্রেস্ট ক্যান্সার যদি শরীরের অন্যান্য জায়াগায় ছড়িয়ে যায় তাহলে কাশি, জণ্ডিস, হাড়ে ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ নিয়ে রোগী আসতে পারে।
কীভাবে চিকিৎসা করা হয় ব্রেস্ট ক্যান্সারের?
কয়েক প্রকারের চিকিৎসা রয়েছে ব্রেস্ট ক্যান্সারের। প্রথমত, অস্ত্রপচার। এছড়ার রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি, হরমোন থেরাপি, ইমিউন থেরাপি
যাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তাদের প্রতি ৬ মাসে একবার আল্ট্রাসনোগ্রাফি বা ম্যামোগ্রাফি করাতে বলা হয়। যাদের বয়স ৩০ বছরের কম তাদের জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাফি এবং যাদের ৩০ বছরের বেশি তাদের জন্য ম্যামোগ্রাফি অধিক প্রযোজ্য।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct