শুধু তরকারি বা মাংস রান্নার জন্য রসুন শুধু মসলাই নয়,বাড়িতে তৈরি করা যায় বেশ মুখরোচক আচার। যাদের রোগের কারণে কাঁচা রসুন খাওয়া যায় না তাদের জন্য রসুনের আচার স্বাদ মেটাবে। আর এই শীতের সময় শরীর গরম রাখার প্রাকৃতিক উপাদান হচ্ছে রসুন ও মধু। তবে মধু অনেকেই খেতে পারেন না বা পছন্দ করেন না। আর রসুন একটি অতি গুরত্বপূর্ণ মসলা। খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি রয়েছে এর অনেক ঔষধী গুণ। নিয়মিত রসুন খেলে রক্তের অতি উচ্চচাপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। খালি রসুন খাওয়া একটু কষ্টের কেননা এর স্বাদ তেমন একটা সুবিধার নয়। ঝাঝালো টাইপের খাবার। রসুনের ভর্তা কিন্তু মজার তবে এক ভর্তা কতদিন খাবেন। তাই রসুন দিয়ে মজাদার খাবার বানিয়ে খেতে পারেন।
উপকরণ:
রসুন ১.৫-২ কেজি
হলুদ ও মরিচের পাউডার ১ চা চামচ করে
ভিনেগার বা লেবুর রস ২ কাপ
সরিষার তেল পরিমান মতো
সরিষাবাটা ১ কাপ
আদাবাটা ৩ টেবিল চামচ
পাঁচফোড়ন ৩ চামচ বা পরিমাণ মতো
চিনি প্রয়োজন মনে করলে
লবণ পরিমাণ মতো
রান্নার উপায়:
সরিষা ও আদা বাটা লেবুর রস বা ভিনেগার দিয়ে গুলিয়ে একটি পাত্রে রেখে দিন। তারপর চুলায় কড়াই বা ফ্রাইপেনে সরিষার তেল দিন। তেল গরম হলে পাঁচফোড়ন দিন। পাঁচফোড়ন দেয়ার পর উনুনের আঁচ কমিয়ে দিন। এরপর আদা ও সরিষা বাটান পেস্ট হলুদ ও মরিচের পাউডার তেলে ঢেলে দিন এবং নাড়তে থাকুন। ভালোভাবে পেস্টটি মিশে গেলে রসুনগুলো ঢেলে দিয়ে আঁচ বাড়িয়ে নাড়তে থাকুন। তেল ও মসলা ফুটে আসলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। রসুন সিদ্ধ হয়ে আসলে আঁচ কমিয়ে দিন। স্বাদ মতো চিনি ও লবণ দিয়ে দিন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন যাতে তেতে না যায়। ঝোল শুকিয়ে আসলে তেল ছেড়ে দিবে। তেল ছাড়ার ২ মিনিট পর নামিয়ে ফেলুন। এর পর আচার ঠাণ্ডা হলে কাঁচের পাত্রে আচার রেখে দিন। অনেক দিন আচার রাখতে চাইলে মাঝে মাঝে আচার রোদে দিলে আচার ভালো থাকবে। রোদ না পেলে উনুনে গরম করে নেওয়াই ভাল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct