মালদাঃ- মালদাহে হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডীর বাজারের সর্ব্বজনীন কালী পুজো কমিটি উত্তরবঙ্গে এক বৃহত্তম জায়গা ধরে রেখেছে। এই পুজোর বিশেষত্বই হল প্রতিমার দৈর্ঘ্য। এখানে প্রায় ৪৭ ফুটের প্রতিমার পুজো হয়। বিগত ৭০ বছর এখানে এত বড় প্রতিমার পুজো হয়ে আসছে।
স্বাধীনতার পরে ১৯৪৯ সালে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি নদীর ধারে বসে আড্ডা দেওয়ার সময় গল্পে মধ্যে হঠাৎ তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন যে, কালীপুজো করবেন। সেই মতোই শুরু হয় কালী পুজো। এরপর থেকেই শুরু হয় মালদহের বুলবুলচণ্ডীর কালী পুজো।
প্রথম বছর কালীপুজো হওয়ার পরে তাঁরা একটি সিদ্ধান্ত নেন যে, মা কালীর প্রতিমা কোনও মতেই দৈর্ঘ্যে ছোট থাকবে না। প্রতি বছর বছর এক হাত করে বাডা়তে শুরু করে প্রতিমার দৈর্ঘ্য। বাড়তে বাড়তে কালী প্রতিমা বিশাল রূপ নেয়। কিন্তু দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে এলাকার উন্নতিও হয়। বড় বড় বাড়ি সহ বাজারে দোকানের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে এত বিশাল প্রতিমাকে নদীতে নিয়ে গিয়ে বিসর্জন দেওয়াও অসুবিধে হয়ে পড়তে শুরু করে। এর পরে সিদ্ধান্ত হয় প্রতিমাকে ৪৭ থেকে ৫০ ফুটের মধ্যে রাখার হবে। পুজো কমেটির সভাপতি বিনোদ প্রশাদ বলেন, তবে রীতি মেনে এখনও সামান্য হলেও প্রতিমার আকারে বৃদ্ধি হয়। মন্দির তৈরি হয়ে যাওয়ার পরে এখন প্রতিমার দৈর্ঘ্য বারানো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন ৪৭ ফুট উচ্চতায় রাখা হয়। এবারও বিশালাকার এই প্রতিমা তৈরি হয়েছে তার জন্য প্রায় ১০০টি বাঁশ, ৫০ কেজি পেড়েক, ৫০কেজি দড়ি, এবং ৩ কাহোন খড়, ৩ টলি মাটি লেগেছে এছাড়াও রঙ সহ বিভিন্ন সামগ্রিক। মূর্তি স্থায়ী মণ্ডপেই গড়া হয়।
উদ্যোক্তাদের দাবি, উত্তরবঙ্গের মধ্যে সর্ববৃহৎ কালি পূজো হয় এখানে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা, এমনকী বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে প্রতিমা দেখতে অসংখ্য মানুষ ভীর জমায় এখানে। পুজো উপলক্ষে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বড় মেলাও বসে এখানে। আাগে ১৫ দিন রাখা হতো এখন ১৩ দিনে বিসর্জন কার হয়। বিসর্জনে আকর্ষণীয় মণ্ডপ থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে নিয়ে গিয়ে বিসর্জন হয়। বাঁশের উপরে রেখে টেনে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় একটি জলাশয়ে প্রতিমা বিসর্জন হয়। বিসর্জন সময় এলাকার সকল প্রায় ১০০ ঢাকি সহ কয়েক হাজার মানুষ দেখা যায়। বিসর্জনে বিষেশ আর্কষন থাকে আতসবাজির প্রদর্শনী যা দেখতে ভির করে বহু মানুষ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct