হুগলির দিল্লি রোডের জাতীয় সড়ক থেকে রাজ্য সড়ক মাঝে মধ্যেই পুলিশের উর্দি পরিহিত এই লোকটির খপ্পরে পড়েছেন অনেক বাইক চালক থেকে গাড়ি চালক। বেআইনি গাড়ি হোক বা রাস ড্রাইভিং আইন ভাঙার খেসারত না দিয়ে বাঁচতে পারেননি কেউই। তবে তার পরেও আর একটা অন্য দিক রয়েছে এই মানুষটির। পুলিশের ডিউটির মাঝেও সুরের জাদুতে অনেককেই মুগ্ধ করেছেন যিনি তিনি শিবাশিস। হুগলী গ্রামীণ পুলিশের ট্রাফিক ইনসপেক্টর তিনি। ডিউটির পর যিনি একজন সঙ্গীতপ্রেমী।
তাই ছোট বেলায় কোনোদিন তালিম নিয়ে গান না শিখলেও শুধুমাত্র সঙ্গীতজ্ঞ মায়ের গান শুনে এখন যথেষ্ট পারদর্শিতার সাথে মঞ্চ কাঁপাচ্ছেন এই পুলিশ কর্মী। পুলিশের অনুষ্ঠান থেকে বিভিন্ন ক্লাবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মুহাম্মদ রফির গলায় গান গেয়ে মুগ্ধ করেছেন অনেককেই। কিন্তু রাস্তায় যিনি গাড়ি চালকদের মাথা ব্যথার কারণ তার গলায় গান! শিবাশিসের যুক্তি সব মানুষেরই একটা বাইরের আমি আর ভিতরের আমি থাকে, সেই ভিতরের আমি থেকেই সঙ্গীত প্রেম। ছোটতে তবলার তালিম নিয়েছেন বহুদিন, মায়ের সাথে হোক বা কোনো অনুষ্ঠান যোগ্য সঙ্গত দেন এখনও। তার এই সুর সাধনার পিছনে যাদের অবদান অনস্বীকার্য তাদের অবদান ও বলতে ভোলেননি শিবাশিষ। জেলার গ্রামীণ পুলিশ সুপার থেকে তার সহকর্মী সকলেই তার গানের দুনিয়ার উৎসহদাতা। তাদের ভালবাসাতেই কাজের মাঝে কখন ও কখনও গুন গুন করে ওঠেন তার কাজ তার দফতর নিয়ে নিজের লেখা নিজের সুর করা গানের কলি নিয়ে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct