ভিত্তিহীন কথা মনে হলেও, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মোলান রশিদপুর এলাকায় ছাগলের মতো দুধ দিচ্ছে পাঠাও। পাঁঠার অন্ডকোষের পাশাপাশি ২’টা বাট আছে। সেগুলি থেকেই প্রতিদিন হাফ লিটার দুধ সংগ্রহ করে পাঠা মালিক। বাংলাদেশে আজব এ ঘটনা দেখার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে মহিলা-পুরুষ দলবেঁধে আসছে। এখন অনেকে আসছে দাওয়াই হিসাবে পাঠার একটু দুধ নেওয়ার জন্য। প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, হরমোন জনিত কারনে এরকম হতে পারে। পাঁচবিবি উপজেলার মোলান রশিদপুর গ্রামের শ্বশধর সরকারে ছেলে লাল বাবুর পালিত একটি পাঠা নিয়মিত দুধ দেয়। লালবাবু প্রায় ২০ বছর আগে বড় ভাইয়ের ৫টি পাঠা নিয়ে লালন-পালন শুরু করেন। প্রথমে এ পাঠা দ্বারা অন্য মানুষের ছাগলের প্রজননের জন্য পালন শুরু করলেও পরে সে সনাতন ধর্মের কালীপুজায় পাঠার চাহিদা ভেবেও তার খামারে এর সংখ্যা বৃদ্ধি করে।
তিনি আরো বলেন, ৩ বছর বয়সে পাঠাটি দুধ দিতে শুরু করে এ দুধ আমার পরিবারের সবাই খাই। এলাকার ৭৫ বছরের বৃদ্ধ আ. খালেক মোল্লা বলেন, 'এখন সবাই আসে তাদের বহুদিনের জটিল রোগ থেকে আরোগ্য লাভের আশায় একটু দুধও নিতে। আমার বাড়ির পাশের এক বয়স্ক লোকের দীর্ঘ দিন যাবৎ হাঁফানী রোগ ভালো হত না লাল বাবুর পাঠার দুধ খেয়ে এখন সে অনেক ভালো আছে, পাঠার যে দুধ হয় দেখার জন্যই এসেছি।'
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct