উত্তর প্রদেশের বরেলি জেলায় কবর থেকে জীবিত উদ্ধার হয়েছে একটি কন্যাশিশু। এখনও সে বেঁচে আছে। যদিও শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে, শিশুটিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সে আসলে সেপটিসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। তাছাড়া রক্তে প্ল্যাটলেটের সংখ্যা ১০ হাজারের নিচে নেমে গিয়েছে। যেখানে এর স্বাভবিক সংখ্যা দেড় লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ। তার বাঁচার সম্ভাবনা আছে, তবে আরও পাঁচ থেকে সাত দিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার পর এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ভারতে এখনও অনেক এলাকায় লিঙ্গ বৈষম্য বিদ্যমান। দরিদ্রতার কারণে এখনও অনেক পরিবার কন্যা সন্তানকে পরিবারের বোঝা মনে করে। ফলে ভ্রুণ হত্যা, জন্মের পর হত্যা কিংবা মাটিতে পুঁতে ফেলার মত ঘটনা এখনও দেখা যায়। গত বৃহস্পতিবার হিতেশ কুমার শিহারী নামের ব্যক্তি নিজের সদ্যোজ্যাত মৃত কন্যার কবর খুঁড়তে গিয়ে মাটির নিচ থেকে জীবিত শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। কবর দেওয়ার কারণ সম্পর্কে পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয়। তবে বরেলি জেলা পুলিশ কর্মকর্তা অভিনন্দন সিং বলেন, 'কবর দেওয়ার পেছনে নবজাতকটির বাবা-মা জড়িত থাকতে পারে। কারণ ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর এখন পর্যন্ত কেউ শিশুটির পিতৃত্ব দাবি করেনি। পুলিশ এ ঘটনায় অজ্ঞাত কয়েকজন ব্যাক্তিকে আটক করেছে। শিশুর বাবা-মায়ের খোঁজ চলছে।