দেশের গোরক্ষকের জন্য সুখবর বয়ে এনেছে কেন্দ্রীয় পশুপালন মন্ত্রক। দেশজুড়ে প্রায় ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে গরুর সংখ্যা। কেন্দ্রীয় পশুপালন মন্ত্রক ২০তম গবাদি পশু গণনার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বুধবার। তাতে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের পর দেশে গরুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৮ শতাংশ। আর এই। বৃদ্ধির ফলে দেশে মোট গরুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪.৫১ কোটি। যা দেশের মুসলিমদের সংখ্যার প্রায় কাছাকাছি।
উল্লেখ্য, প্রতি পাঁচ বছর অন্তর জনগণনার মতো গবাদি পশু গণনা হয়। দেশে প্রথম গবাদি পশু গণনা শুরু হয় ১৯১৯-২০ সালে। দ্বিতীয়বার হয়১৯২৪-২৫ সালে। তবে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম গবাদি পশু গণনা হয় ১৯৫১ সালে। তার পর থেকে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর গবাদি পশু গণনা বয়ে আসছে। ২০১২-২০১৭ এই পাঁচ বছরের গবাদি পশুর গণনা রিপোর্টই প্রকাশিত হয়েছে এদিন।
তবে গরুর সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে এখনো গো রক্ষকের তরফে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তারা যেভাবে গো রক্ষায় এগিয়ে চলেছে তাতে আগামী দিনে গরুর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে তাদের কাছে সুখবর বয়ে আনতে পারে এ জন্য যে, দেশে তখন গরু আর মুসলিমদের সংখ্যা প্রায় সমান হয়ে উঠতে পারে। গো রক্ষকদের কাছে মানুষের তুলনায় গরুর মূল্য বেশি। তাই অহেতুক কারণে পিটিয়ে হত্যা করছে গো রক্ষার নামে। এতে দেশজুড়ে প্রতিবাদও হচ্ছে। তাদের আসল লক্ষ্য গো রক্ষা করে তাদের সংখ্যা কমানো।
উল্লেখ্য, ২০১১ জনগণনা অনুযায়ী দেশে সংখ্যালঘু মুসলিমদের সংখ্যা ১৭.২২ কোটি। আর সর্বশেষ গবাদি পশু গণনা অনুযায়ী গরুর সংখ্যা ১৪.৫১ কোটি। এই তফাৎ ঘুচিয়ে দেশে গরু আর মুসলিমের সংখ্যা সমান করতে গো রক্ষকরা যে সক্রিয় হবে না তা কে বলতে পারে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct