এনআরসি চালু নিয়ে শুধু অসম নয়, পশ্চিমবাংলা সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যেও ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে যে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে তার জেরে বেশ কয়েকজন আত্মঘাতী হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি বেকায়দায় পড়েছে। একদিকে অসমে চূড়ান্ত নাগারিকপঞ্জি প্রকাশের পর দেখা গেছে, যে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়েছে তার মধ্যে সিংহ ভাগ হিন্দু সম্প্রদায়ের। অন্যদিকে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে অসন্তোষ। সব মিলিয়ে এখন অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। তাই, বিজেপি নেতারা চাইছেন কি করে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া যায়। মানুষের স্বস্তি ফেরে।
ইতিমধ্যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন শুধু অসম নয়, গোটা ভারতেই কার্যকর করা হবে এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জি। এরআগে অবশ্য বিজেপি চাইছে, আগামী নভেম্বরে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করে প্ৰতিবেশী দেশ থেকে ধর্মীয় কারণে আসা অমুসলিম সংখ্যালঘুদের ভারতের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতে। এরপরই ভারত সরকার গোটা দেশে এনআরসি চালু করে নাগরিকত্ব যাচাই শুরু হবে। তাতেও শঙ্কা কাটেনি। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে। অসমে বিজেপি বেকায়দায় পড়ে যাওয়ায় অসমের বিজেপি মন্ত্রী তথা উপমুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সম্প্রতি শিলচরে বলেছেন, অসমের এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা বাতিল করে একযোগে দেশব্যাপী কার্যকর করা হবে।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহও দেশজুড়ে এনআরসি চালু নিয়ে সরব হওয়ায় হিমন্ত বিশ্বশর্মা ইঙ্গিত আশ্বস্ত করছেন বিজেপি সমর্থকদের। বলছেন, সে সব হিন্দুদের নাম বাদ গেছে তাদের ভয়ের কিছু নেই। অসমের এনআরসি বাতিল করে সারা দেশের জন্য একটাই এনআরসি হবে। তখন সুরক্ষা থাকবে হিন্দুদের জন্য। কারণ, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আগে চালু হয়ে গেলে সব হিন্দু নাগরিকের আর ভয় থাকবে না। হিমন্ত বিশ্বশর্মা সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct