বাবরি মসজিদ রাম মন্দির মামলার শুনানি শেষে হাতে আর কয়েকদিন বাকি। তার আগেই অযোধ্যায় জারি হয়ে গেল ১৪৪ ধারা। শুনানি শেষে দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই অযোধ্যা ঘিরে টান টান উত্তেজনা। রায় বেড়ানোর পর যাতে সেখানে তার রেশ গিয়ে না পড়ে তার জন্য নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে অযোধ্যাকে। তাই রবিবার থেকে অযোধ্যার বাবরি মসজিদ রাম মন্দির এলাকায় উত্তরপ্রদেশ সরকার জারি করে দিল ১৪৪ ধারা। আর তা জারি থাকবে ডিসেম্বরের ১০ তারিখ পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট সাফ বলে দিয়েছে আগামী ১৭ অক্টোবরের মধ্যে দুপক্ষের বক্তব্য পেশের শেষ দিন। অর্থাৎ শুনানি হবে ওই দিন পর্যন্ত। তাই শুনানির শেষ দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে অযোধ্যা।
এর আগে বাবরি মসজিদ রাম মন্দির মামলা কোর্টের বাইরে মিটিয়ে ফেলতে সুপ্রিম কোর্ট মধ্যস্থতা প্যানেল করে দিয়েছিল। ওই প্যানেলে ছিলেন বিচারপতি এফএমআই কালিফুল্লাহ, প্রবীণ আইনজীবী শ্রীরাম পাঁচু ও আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর। কিন্তু সে চেষ্টা বিফলে যায়। তাই ১৭ অক্টোবরের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে চূড়ান্ত রায়ের ব্যাপারে।
যদিও এলাহাবাদ হাইকোর্ট অযোধ্যা মামলার নিষ্পত্তি নিয়ে যে রায় দিয়ে ছিল তার বিরুদ্ধে মামলার শুনানিই চলছে সুপ্রিম কোর্টে। এলাহাবাদ কোর্ট রায়ে বলেছিল ২.৭৭ একর জমি তিন ভাগে ভাগ করার কথাবলা হয়েছিল এক ভাগ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, এক ভাগ নির্মোহি আখড়া আর এক ভাগ রামলালা পাবে। এই সমঝোতা মানতে না। হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টে মামলা হলে মধ্যস্থতার সুপারিশ করা হয়। সেটা ভেস্তে যায়।