অনেকের মতে, সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেম করা কঠিন। কারণ তাদের পকেটে নাকি বেশিরভাগ সময় টাকা থাকে না। একই সঙ্গে তারা নাকি সব সময়ই কাজ নিয়েই মেতে থাকে। কিন্তু তাই বলে তাদের সঙ্গে প্রেম করা কঠিন হতে যাবে কেন? এটাকে আবার অনেকে আজগুবি বলছেন। আসলে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেম করা বেশ লাভজনক। সাংবাদিক প্রেমিক বা প্রেমিকা অন্য যেকোনো পেশার সঙ্গীর অনেক বেশি এগিয়ে। কারণ, চাকরির খাতিরে সাংবাদিকরা এমনিতেই বিশ্বের চারিদিকে ঘুরতে থাকেন। তাই শহরের অলিগলিতে কোথায় কী আছে, সবই তাদের নখদর্পণে। আর এ কারণেই তাদের সঙ্গে প্রেম মানে জীবনে আনন্দের আর ফুর্তির প্রাচুর্য্য। এছাড়া সাংবাদিকরা এত কম বেতন পান যে টাকা বিষয়ে তাদের মোহ খুবই কম।টাকার প্রতি বিশেষ আকর্ষণ নেই এমন প্রেমিক বা প্রেমিকা কিন্তু সহজে জোটে না। পাশাপাশি পেশার জন্য সাংবাদিকরা সর্বদাই ব্যস্ত। তাদের সঙ্গে প্রেম করলে আপনার ব্যক্তিগত সময়ের বিশেষ অভাব হবে না। কারণ আপনার নিজস্ব সময়ে নাক গলানোর সময়টাই যে তাদের বিশেষ নেই। সাংবাদিকদের কয়েক গুচ্ছ কাজ বেশি শিখে রাখতেই হয়। এক সঙ্গে অনেক কাজ তাদের অভ্যাস হয়ে যায়। বাড়িতে এমন একজন মাল্টিটাস্কিং পার্টনার কে না চায় ? একজন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললে বুঝতে পারবেন, আলপিন থেকে আলাস্কা, সব কিছু নিয়েই তারা আপনাকে অনেক তথ্য দিতে পারেন। ফলে একঘেয়ে লাগবে না। তাদের সঙ্গে আরামে বকবক করতে পারেন। সাংবাদিকরা ভাল শ্রোতা।প্রেমিক বা প্রেমিকা যদি ভাল শ্রোতা হল, তার থেকে ভাল আর কী-ই বা হতে পারে? এই পেশার কারণে সাংবাদিকরা বিশ্বাসী হয়ে থাকেন। সংবাদ সংগ্রহের জন্য অনেক লোকজনের কাছে যেতে হয় তাদের। সংবাদ উৎসের পরিচয় গোপন রাখতে হয়। আর এ কারণেই বিশ্বাসী আর সহায়তাপ্রবণ হয় সাংবাদিকরা। জীবনে এমন একজন মানুষ কে সবাই চায়। সাংবাদিকদের গাধার খাটুনি খাটতে হয়। ইচ্ছা-অনিচ্ছার উর্ধ্বে গিয়ে তারা কঠোর পরিশ্রমী হয়ে ওঠেন। সঙ্গী বা সঙ্গিনী পরিশ্রমী হওয়া যে কারো পক্ষেই অত্যন্ত সুখকর। এরা সাধারণত বেশ সৃজনশীল হন। নিজের পেশা ছাড়াও আরো অনেক কিছুতেই পারদর্শী হন। পার্টনার যদি সৃজনশীল হন, তা হলে আপনার তো গর্ব হবেই।