আধুনিক বিজ্ঞানের সারথি হয়ে মহাকাশে গিয়েও নিজের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভুললেন না আরব আমিরাতের প্রথম মহাকাশচারী।
মহাকাশে আট দিনের সফল মিশন শেষে মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআনের একটি কপি বুকে নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে এলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রথম নভোচারী হাজ্জা আল মানসুরি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৫৯ মিনিটে পৃথিবীর বুকে ফিরে আসেন তিনি।
মহাকাশে পাড়ি দিয়েও সেখান থেকে নিজেকে ধর্মপ্রাণ প্রমাণ করতে পিছপা হননি।
হাজ্জা আল-মানসুরি মহাশূন্যে ওঠার পর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে সৌদি আরবের কাবা শরিফ ও পবিত্র মক্কা নগরীর ছবি তুলেছেন। গত ১ অক্টোবর পবিত্র কাবা শরিফ একটি ছবি ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করেছেন তিনি।
এর আগে, মহাকাশ যাত্রার সময় পবিত্র কুরআনের একটি কপি বুকে করে নিয়ে যান হাজ্জা আল মানসুরি।
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার ঘোষণা অনুযায়ী, ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা ৫৭ মিনিটে কাজাখস্তানের বাইকনুর কসমোড্রোম থেকে ‘সবুজ এমএস ১৫’ এর মাধ্যমে মহাকাশে যাত্রা শুরু করেন তিনি। আমিরাতের সময় বৃহস্পতিবার সকালে মানসুরি এবং তার সঙ্গীদের বহনকারী মহাকাশযানটি ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে (আইএসএস) প্রবেশ করে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাকতুম গত বছর ঘোষণা দিয়েছিলেন, শিগগিরই আরব আমিরাত মহাকাশে নভোচারী পাঠাবে। তাই সে ঘোষণা অনুযায়ী প্রথমবারের মতো মহাকাশে নভোচারী পাঠিয়ে এবং মিশন সফল বাস্তবায়ন শেষে নভোচারী ফিরে আসায় গর্বিত আমিরাত। এ দিকে, আরব আমিরাতের প্রথম নভোচারী হাজ্জা আল মানসুরির মহাকাশ মিশন সফল হওয়ায় আরব আমিরাত সরকার, দেশটির নাগরিকসহ বিশ্ববাসী আনন্দিত ও গর্বিত। তাই হাজ্জা আল-মানসুরীকে ঘিরে আরব আমিরাতে চলছে আনন্দ-উৎসব।
উল্লেখ্য, মানসুরি একজন প্রাক্তন মিলিটারি পাইলট। বর্তমানে তার বয়স ৩৫ বছর। আমিরাত ও আরবের হয়ে প্রথম মহাকাশে পৌঁছানো মানসুরি সেখানে আট দিন অবস্থান করে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন। এই সময়ে অন্যান্য আন্তর্জাতিক মহাকাশচারীদের সঙ্গে একাধিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় শামিল হন।