আফ্রিকার গরিব দেশ বলে পরিচিত উগান্ডা। সেই উগান্ডার কামপালার উত্তরে ৫০ কিলোমিটার দূরে একটা ছোট গ্রামে থাকেন উপজাতি সম্প্রদায়ের রমণী মারিয়ম নবট্যানজি। ৩৯ বছর বয়সী ওই মহিলা এ পর্যন্ত জন্ম দিয়েছেন ৪৪টি সন্তানের। তার মধ্যে বেঁচে আছে
৩৮ সন্তান। তাদের নিয়ে সংসার চালাচ্ছেন মারিয়ম।
এই সন্তানদের মধ্যে ৬বার জমজ, চার বার একসঙ্গে তিন সন্তান (ত্রিপলেট) ও পাঁচ বার এক সঙ্গে চার সন্তানের (কোয়াড্রুপলেট) জন্ম দিয়েছেন মারিয়ম।
মারিয়মের যখন তিন দিন বয়স, তখন মা তাকে ফেলে রেখেই চলে যান। সেই থেকে ঠাকুমার কাছে বড় হতে থাকেন তিনি। এরপর মাত্র ১৩ বছর বয়সে তার বিয়ে হয় তার। বলা চলে প্রায় জোর করেই ২৭ বছর বয়সি এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেন তার ঠাকুমা। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই যমজ সন্তানের জন্ম দেন কিশোরী মারিয়ম। প্রথমটায় যমজ সন্তান পেয়ে খুব খুশিই হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এরপর টানা চার বার যমজ সন্তানের জন্ম দেন মারিয়ম। ততদিনে কিশোরী থেকে যুবতী হয়ে যান আফ্রিকার উগান্ডার এই বাসিন্দা। আর সেই সঙ্গে বুঝে গিয়েছেন, কোথাও একটা বড়সড় সমস্যা রয়েছে।
এদিকে অভাবের সংসারে সদস্য সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকায় অনটন আর অশান্তিও ক্রমশ বেড়ে চলে। সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকের কাছে ছুটে যান মারিয়ম। চিকিৎসক তাঁকে জানিয়ে দেন, তার ডিম্বাশয়ের আকার বেশ বড় এবং তিনি নিজেও অত্যন্ত ফার্টাইল। কিন্তু কোনও রকম গর্ভনিয়ন্ত্রক ওষুধ বা অস্ত্রোপচার তার ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী হতে পারে! গোটা বিষয়টি নিয়ে মারিয়ম তার স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করেন এবং তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু মারিয়মের কথায় কান দেননি তার স্বামী। ফলে এরপর চার বার একসঙ্গে তিন সন্তান (ত্রিপলেট) ও পাঁচ বার এক সঙ্গে চার সন্তানের (কোয়াড্রুপলেট) জন্ম দেন মারিয়ম।
সব মিলিয়ে মোট ৪৪ সন্তানের জন্ম দেন। তার মধ্যে ৬যান মারা গেছে। বর্তমানে মারিয়মের বয়স ৩৯ বছর। অধিক সন্তানের কারণে আড়াই বছর আগে অন্য মহিলাকে বিয়ে করে তাকে পরিত্যাগ করেছেন মারিয়মের স্বামী। আর বিগত আড়াই বছর ধরে ৩৮ সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব একাই সামলাচ্ছেন স্বামী পরিত্যক্তা ‘সিঙ্গল মাদার’ মারিয়ম নবট্যানজি।