কোনো পরিচারিকার জন্য বাড়ির কর্তাব্যক্তিরা নিবেদিত প্রাণ হওয়ার উদাহরণ পাওয়া গেলেও তা খুবই কম। অনেকক্ষেত্রে যদিও দেখা যায় পরিচারিকা বাড়ির একজন সদস্যের মতোই হয়ে উঠেছেন। তার মায়া কাটানো যায় না। হোক না সে বৃদ্ধ কিংবা বৃদ্ধ। কিন্তু বৃদ্ধা গৃহকর্মীর জন্য অর্থের যোগান দিতে চাকরিজীবী দম্পতির আলাদা সময় করে দোকানদারি করার দৃষ্টান্ত পাওয়া ভার। হ্যাঁ, এই দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন মুম্বাইয়ের কান্দিভালির এক এমবিএ পাশ দম্পতি।
জানা গেছে, ওই বৃদ্ধার স্বামী প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হওয়ায় নিরুপায় হয়ে পড়েন। তাতে কি। আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতে খাবারের দোকান খুলে বসেছেন ওই এমবিএ দম্পত্তি।
স্বামী-স্ত্রী ভালো একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও প্রতিদিন ভোর ৪টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত দোকানে বসেন। এর পর চলে যান যার যার কর্মস্থলে।
গত বুধবার দীপালি ভাটিয়া নামে এক মহিলা ফেসবুকে এ দম্পতির বিষয়ে জানালে ব্যাপক প্রশংসা পায়। কিছু দিন আগে মুম্বাইয়ের কান্দিভালি স্টেশনে খাবারের খোঁজে বেরিয়ে অশ্বিনী শেনয় শাহ ও তার স্বামীর দোকানটি দেখতে পান তিনি। এই দম্পতি রুটি, পোহা, উপমা, পরাটা, ইডলি জাতীয় খাবার বিক্রি করছিলেন। খাওয়ার সময় দীপালি জানতে চান, তারা কেন দোকানে বসেছেন?
ওই দম্পতি জানান, বাড়ির বৃদ্ধা গৃহকর্মীকে সাহায্য করতেই এ দোকান খুলেছেন তারা। ৫৫ বছর বয়সী ওই গৃহকর্মীর স্বামী প্যারালাইসিসে আক্রান্ত। এ কারণে শেষ বয়সে এসে তাদের যেন আর্থিক কষ্টে পড়তে না হয়, এ জন্য গৃহকর্মীর তৈরি করা খাবার এনে দোকানে বিক্রি করছেন অশ্বিনী ও তার স্বামী।
ফেসবুকে শেয়ার করার পর পরই স্ট্যাটাসটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct