‘হানিমুন’ শব্দের উৎস ব্যাবিলন৷ প্রাচীন ব্যাবিলনে বিয়ের পরে মেয়ের বাবা জামাইকে তাঁর চাহিদামতো মধু দিয়ে তৈরি পানীয় উপহার দিতেন। এই থেকেই কথাটি এসেছে ‘হানি’৷ ব্যাবিলনের ক্যালেন্ডার ছিল চান্দ্র। সেখান থেকে এসেছে মুন। শুরুতে নাকি ব্যাবিলনে বিয়ের পরের মাসকে হানি মান্থ বলা হত। সেখান থেকে শব্দটি পরিবর্তিত হতে হতে শেষে হানিমুন হয়, যা প্রচলিত এবং জনপ্রিয় রীতি হিসেবেই গৃহীত৷ আবার অন্য একটি ব্যাখ্যায় বলা হয়, বিয়ের পরে টানা একমাস একপাত্র করে মধু দিয়ে তৈরি শরবত খেতে হত নবদম্পতিকে। মধু দিয়ে তৈরি এ পানীয় খাওয়ার প্রথা সেই হুন রাজা অ্যাটিলার সময় থেকে চালু ছিল, যার থেকেই এসেছে হানিমুন শব্দটি। আবার অনেকে মনে করেন, ‘মুন’ শব্দটির সঙ্গে ঋতুচক্রের যোগ রয়েছে। যার সঙ্গে আবার যৌনতাও জড়িয়ে৷ এর সঙ্গে হানি বা মধু জুড়ে দেওয়া হয়েছিল এটা বোঝাতে যে, বিয়ের পর কিন্তু একইরকম সুখ নাও পাওয়া যেতে পারে৷ বেশিরভাগ হানিমুন কাপল যেখানে বিয়ের পর দুজনে কোথাও ঘুরতে যায়, সবসময় কিন্তু এমনটা ছিল না৷ ১৯শতকে ব্রিটেনে কাপল-রা বিয়ের পর ব্রাইডাল ট্যুরে যেতেন৷ এই ট্যুরে নবদম্পতিরা সেইসব আত্মীয় এবং বন্ধুদের বাড়ি যেতেন, যাঁরা তাদের বিয়েতে যেতে পারেননি।