দেশের মানুষের জন্য যারা জীবনের সব অর্জন উৎসর্গ করেন বরাবর তাদের বলি হতে হয় নষ্টদের হাতে। মহাত্মা গান্ধী নিজেও এর হাত থেকে মুক্তি পাননি।
১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি নয়াদিল্লিতে পথসভা করার সময় নাথুরাম গডসে নামক একজন সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ সম্পন্ন ব্যক্তি তাঁকে গুলি করে হত্যা করে।
গান্ধীর ইচ্ছানুযায়ী তাঁর দেহভস্ম বিশ্বের বেশ কয়েকটি প্রধান নদী যেমন— নীল নদ, ভোলগা, টেমস প্রভৃতিতে ভাসানো হয়। এরপর তাঁর দেহভস্ম সেলফ রিয়ালাইজেশন ফেলোশিপ লেক স্রাইনের মহাত্মা গান্ধী বিশ্বশান্তি সৌধে একটি হাজার বছরের পুরনো চৈনিক পাথরের পাত্রে সংরক্ষণ করা হয়।
গান্ধীর শেষকৃত্যে ১০ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছিল যা প্রায় ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ হয়েছিল।
তবে গান্ধীজির ঘাতক নাথুরাম গডসেকে নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠলেও আরএসএস ও অন্য সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী তাকে বীরের সম্মান দেয়। এখনো তাদের এই মানসিকতা ভারতীয় ঐতিহ্যের বিরোধী, ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের পরিপন্থী।