অামেরিকার বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রের টাওয়ারগুলো কন্ট্রোল ডেমোলিশন বা নিয়ন্ত্রিত উপায়ে ধ্বংস করা হয়েছে বলে ইউরোপীয় একটি গবেষণা সংস্থা দাবি করেছে৷
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার ১৫ বছর পরে ইউরোপীয় বৈজ্ঞানিক ইনস্টিটিউটের প্রকাশনা সংস্থা ‘ইউরোপীয় সায়েন্টিফিক জার্নালে’ ‘১৫ বছর পর: পদার্থ বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে হাই রাইজ বিল্ডিংয়ের পতন’ শীর্ষক নিবন্ধে এ কথা বলা হয়েছে। ওই নিবন্ধে সংস্থাটি বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের তিনটি ভবনের পতন নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন।
তাদের বিশ্লেষনের ফলাফলে অব্যাহতভাবে নির্দেশ করা হয়েছে যে, কন্ট্রোল ডেমোলিশন বা নিয়ন্ত্রিত উপায়ে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টাওয়ারগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।
এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত সদস্যরা হলেন, ব্রিংহাম ইয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিভেন জোনস (অবসরপ্রাপ্ত), ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির মহাকাশ গবেষণার মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার রবার্ট কোরাল এবং টেড ওয়াল্টারের স্থপতি ও প্রকৌশলীরা।
তাদের এই উচ্চতর গবেষণার ফলাফল বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অসামঞ্জস্যতাকে ভেঙ্গে দিয়েছে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘নিবন্ধনটি সম্পূর্ণরূপে পড়ার জন্য আমরা আমাদের পাঠকদের বিশেষ করে সন্দেহভাজনদের পরামর্শ দিচ্ছি।’
এতে বলা হয়, ‘বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের টাওয়ারগুলোর পতনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণগুলোর মধ্য একটি হচ্ছে টাওয়ারের প্রধান প্রকৌশলী জন স্কিলিং। হাজার হাজার আর্কিটেক্ট ও প্রকৌশলীকে সিরিয়াসলি খুঁজে বের করার জন্য সন্দেহভাজনদের পক্ষে যথেষ্ট নয়, তবে টাওয়ার নির্মাণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের দক্ষতার বিষয়ে অন্তত সন্দেহভাজনদের বিবেচনা করা উচিত নয়, তবে সেগুলো উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে অন্ধকারেই থাকবে।’
সিয়াটল টাইমসে প্রকাশিত সংস্থাটির পক্ষে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভবনগুলোর ধ্বংস ঘটাতে পারে, এমন সম্ভাব্য প্রত্যেকটি বিষয় আমরা বিবেচনায় নিয়েছি। তবে সেই দিনগুলোতে লোকেরা সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে খুব বেশি চিন্তা করেনি। আমাদের বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যায় যে, সবচেয়ে বড় সমস্যাটি এটাই হবে যে, বিমানটির সমস্ত জ্বালানি বিল্ডিংটি ডাম্প করবে। সেখানে ভয়াবহআগুন থাকবে। অনেক মানুষ নিহত হবে। বিল্ডিং কাঠামো এখনো সেখানে থাকবে।’
‘যাইহোক, আমরা বলছি না যে, সঠিকভাবে প্রয়োগ করা বিস্ফোরক এই মাত্রার বিপুল পরিমাণ ক্ষতি করতে পারে না। আমি কল্পনা করতে পারছি যে, আপনি যদি এই ধরনের কাজের জন্য শীর্ষ বিশেষজ্ঞকে নিয়ে যান এবং তাকে বিস্ফোরক দিয়ে এই ভবনগুলোকে ধ্বংসের কাজটি দেন, তাহলে আমি নিশ্চিত যে তিনি এটা করতে পারবেন।’
তাদের গবেষণায় বলা হয়, তারা বিশ্বাস করেন যে টুইন টাওয়ারের ধ্বংস করতে পারে- এমন একমাত্র প্রক্রিয়া হচ্ছে কন্ট্রোল ডেমোলেশন বা নিয়ন্ত্রিত উপায়ে।
এতে বলা হয়, এটিও বিবেচনা করা উচিত যে, ইস্পাত-নির্মিত উচ্চমানের একটি ভবনগুলো আগুনে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়নি এবং এখনো পর্যন্ত মনে করা হয় ভবন তিনটি এই পদ্ধতিতে ধ্বংস হয়েছে, যার মধ্যে একটি ভবনে এমনকি বিমানের কোনো ধরনের আঘাত ছিল না।
সূত্র: এডুকেটেড ইনসাইড চেইঞ্
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct