কলকাতা থেকে খুলনা যাত্রীবাহী ট্রেন ছাড়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও শেষ মুহুর্তে ট্রেন চলাচল স্থগিত হয়ে গেল। বুধবার ৩ আগষ্ট থেকে এই ট্রেন চলাচল করার কথা ছিল। মৈত্রী এক্সপ্রেসের পর এটি বাংলাদেশগামী দ্বিতীয় ট্রেন।এর নামকরণ করা হয়েছে ‘সোনার তরী’ এক্সগ্রেস। এ ব্যাপারে পূর্ব রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র জানান, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সবুজ সঙ্কেত না মেলায় আপাতত এই ট্রেন চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশ থেকে ছাড়পত্র পাওয়া গেলেই ট্রেন চলাচল শুরু করা যাবে। কারণ ভারতের তরফ থেকে সব কাজ চূড়ান্ত।
তবে কবে নাগাদ এই ট্রেন চালু হতে পারে সে নিয়ে তিনি কিছু বলেননি।
গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় দুই প্রধানমন্ত্রী এক সঙ্গে খুলনা থেকে কলকাতা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক যাত্রার সূচনা করেছিলেন। এর পর গত জুন মাসে কলকাতায় দুই দেশের উচ্চপদস্থ রেল আধিকারিকরা ট্রেন চলাচলের ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিলেন্ সেই সময়ই ৩ আগষ্ট থেকে ট্রেনটি চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল । জানা গেছে, বাংলাদেশের দিকে সীমান্তে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস বিভাগের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়াতেই আপাতত ট্রেন চলাচল স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে বিষয়টি বর্তমানে আটকে রয়েছে। প্রযোজনীয় ছাড়পত্র পাওয়া গেলেও ট্রেন চলাচলের নতুন তারিখ ঘোষনা করা হবে। একসময় শিয়ালদহ থেকে খুলনা পর্যন্ত বরিশাল এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন চলত। শিয়ালদহ থেকে পেট্রাপোল-বেনাােল সীমান্ত দিযে যশোর হয়ে ট্রেনটি খুলনা পর্যন্ত যেতো। ১৯৬৫ সালের ভারত-পাক যুদ্ধের সময়ই এই রুটসহ পূর্ববঙ্গের সঙ্গে সব রুটেই ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওযা হয়েছিল্ সেই পুরনো রুটগুরিতে ফের ট্রেন চলাচল শুরু করতে দুই দেশ উদ্যোগী হযেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখনই লাইন সংযুক্ত করে তিনি পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিতে মালগাড়ি চালানো শুরু করেছিলেন।