মিশরের জনগণের বিপুল ভোটে জেতা প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসির জোর করে পদচ্যুত করেছিলেন সামরিক প্রধান আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি। সেটা ২০১৩ সালের ঘটনা। মুরসিকে সরিয়ে দিয়ে তিনিই এখন মিশরের প্রেসিডেন্ট। মুরসিকে কারাগারেও পাঠানো হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এবার সেই আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসিকেই প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়ার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠল মিশরের রাজপথ। এ যেন আর এক মুরসির আগমন। প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসির পদত্যাগ দাবিতে মিসরের রাজধানী কায়রোর তাহরির স্কোয়ারে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন হাজার হাজার মিশরীয় নাগরিক। ২০১৪ সালে প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় আসার পর গতকাল শুক্রবার প্রথমবারের মতো দুর্নীতির অভিযোগে সরকার পতনের দাবিতে গর্জে উঠল মানুষ।
প্রেসিডেন্ট সিসির সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে আন্দোলন শুরু করে মিসরের জনগণ। তাহরির স্কোয়ারে জড়ো হওয়া জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ পর্যন্ত অন্তত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই গণবিক্ষোভ সৃষ্টির পিছনে রয়েছেন মিসরীয় ব্যবসায়ী ও অভিনেতা মুহাম্মদ আলী। তিনি আল সিসি সহ মিশরীয় নেতাদের বিরুদ্ধে বিলাসবহুল বাড়ি এবং হোটেলে লাখ লাখ টাকা অপচয় করার অভিযোগ এনে অনলাইনে বেশ কয়েকটি ভিডিও পোস্ট করেন। লাখ লাখ মিসরীয় নাগরিক দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। দেশটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনৈতিক মিতব্যয়িতার নীতি অনুসরণ করছে। এর পর মানুষ রাজপথে নেমে পড়েন বিক্ষোভ দেখাতে।
যদিও, এসব অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি। ২০১৩ সালে মুহাম্মদ মুরসির কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে তিনি মিশরের প্রেসিডেন্ট পদে বসেছিলেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct