এনআরসি নিয়ে কড়া মনোভাবের কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছেন দেশে একজন 'ঘুসপেটিয়া' বা অনুপ্রবেশকারীকে জায়গা দেবেন না। বুঝিয়ে দিয়েছেন তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যদিও বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর অভয় দিয়েছেন এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ বেই।কিন্তু তা নিয়ে চুপ করে থাকতে চাইছে না বাংলাদেশ। আগামী ৩ থেকে ৬ অক্টোবর ভারত সফর করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সফরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তিনি। তাতে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকায় যাদের নাম নেই তাদের ব্যাপারে ভারতের মনোভাব জানতে চাইবেন হাসিনা। অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) থেকে বাদ পড়াদের নিয়ে ঢাকার উদ্বেগ এই সফরের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্তমান মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে এবারেই প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচনে ভূমিধ্বস জয় নিয়ে টানা তৃতীয়বার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। আর গত জুনে নিজের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করেছেন মোদি। দুই নেতার অধীনে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও জোরালো হয়েছে। যৌথভাবে বেশ কিছু প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন দুই নেতা । বিশেষ করে দুই দেশের সংযোগস্থাপনে নানা প্রকল্প চালু হয়েছে তাদের মেয়াদে।
দিল্লি সফরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও ৪ অক্টোবর বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ভারতীয় অর্থনৈতিক সম্মেলনে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।
জানা গেছে, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনায় হাসিনা এনআরসি বাদ পড়া ব্যক্তিদের ফেরত পাঠানো নিয়ে তাদের উদ্বেগ তুলে ধরবেন। যদিও গত মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ঢাকা সফরে গিয়ে জানিয়েছিলেন, অসমের এনআরসি সম্পূর্ণভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অসমের নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ যাওয়া ১৯ লাখ ব্যক্তিরা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল এবং উচ্চ আদালতে আবেদন করতে পারবেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct