স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যান্সিয়াল কর্পোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাগুলোর অলস ২ লাখ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে। ২ সেপ্টেম্বর সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি আইনের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ‘স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যান্সিয়াল কর্পোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহের উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান আইন, ২০১৯’ এর অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের স্বশাসিত সংস্থাগুলোর আর্থিক স্থিতির পরিমাণ বর্তমানে দুই লাখ ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এই টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট হিসাবে আছে। এ টাকাগুলো কোনো ভালো কাজে ইনভেস্ট হচ্ছে না। এ জন্য সরকারের এ আইনের মাধ্যমে পলিসি হলো-কিছু প্রভিশন রেখে সরকারের কোষাগারে নিয়ে আসা এবং জনকল্যাণমূলক কাজ করা। আমাদের অনেক প্রজেক্ট রয়েছে যেগুলো আর্থিক সংকটের কারণে সেখানে অর্থায়ন করা যায় না।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ‘স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলো তাদের পরিচালন ব্যয়, নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বার্ষিক ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জমা রাখবে। আপৎকালীন ব্যয় নির্বাহের জন্য পরিচালক ব্যয়ের ২৫ শতাংশ সমপরিমাণ অর্থ সংরক্ষণ করতে পারবে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের বিধি মোতাবেক যদি পেনশন, প্রভিডেন্ড ফান্ড থাকে সেটাও রেখে দেবে। এরপরও যা থাকবে (উদ্বৃত্ত) সেটা সরকারের কোষাগারে জমা দেবে। ওনাদের বিপদে ফেলা হবে না। প্রয়োজনীয় অর্থ রাখার পর বাকি অর্থটা সরকারি কোষাগারে দেবেন।’ আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, এসব সংস্থা চালাতে যে খরচ হয় এবং নিজস্ব অর্থায়নে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বছরে যে অর্থ লাগে, তা তাদের নিজস্ব তহবিলে জমা রাখা হবে। তাছাড়া আপৎকালীন ব্যয় নির্বাহের জন্য পরিচলন ব্যয়ের আরও ২৫ শতাংশ অর্থ এসব সংস্থা সংরক্ষণ করতে পারবে। ওই সংস্থার কর্মীদের পেনশন বা প্রভিডেন্ড ফান্ডের অর্থও তারা সংরক্ষণ করবে। উদ্বৃত্ত অর্থ আছে এমন স্বায়ত্তশাসিত ৬৮টি সংস্থার তালিকা করা হয়েছে বলেও জানান শফিউল আলম। তিনি বলেন, এরমধ্যে ২৫টি শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের তালিকা রয়েছে। যেমন- বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের ২১ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা, পেট্রোবাংলার ১৮ হাজার ২০৪ কোটি টাকা, ডিপিডিসির ১৩ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা, চট্টগ্রাম বন্দরের ৯ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৪ হাজার ৩০ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত রয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct