অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছে অসমের বিরোধী দলনেতা অনন্ত কুমার থেকে শুরু করে কার্গিল যুদ্ধে অংশ নেওয়া সেনা সানাউল্লাহ। যদিও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগেই আতঙ্কে আত্মহত্যাকে বেঁচে নিয়েছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল।মিডিয়া ট্যুইটারে তার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে পশ্চিমবঙ্গের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
ট্যুইটারে মমতা বলেন, মমতা বলেন, অসমের বাংলাভাষী ভাইবোনদের জন্য খারাপ লাগছে। জাঁতাকলে পড়ে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে তাদের। অসমের এনআরসি অভিসন্ধিমূলক ‘ব্যর্থ নাটকীয়তা’ বলে অভিহিত করেছেন মমতা। তিনি বলেন, নাগরিকপঞ্জি নিয়ে যারা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছিল, তাদের মুখোশ খুলে দিয়েছে এনআরসি। দেশকে জবাব দিতে হবে তাদের। দেশ ও সমাজের স্বার্থ পরিহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে কাজ করলে এমনটাই ঘটে।
অপরদিকে ফিরহাদ হাকিম বলেন, এনআরসিতে যাদের নাম ওঠেনি তাদের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারকেই নিতে হবে। বাংলাভাষীদের আসাম থেকে তাড়িয়ে দিতেই বিজেপির চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কয়েক দশক ধরে অসমের বাসিন্দারা তাহলে কোথায় যাবেন, করা নেবে তাদের দায়িত্ব। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের স্পষ্ট অবস্থানের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ৩১ আগস্ট প্রকাশিত অসমের জাতীয় নাগারিকপঞ্জি অনুযায়ী, ১৯ লাখেরও বেশি মানুষ 'বিদেশি'।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct