কাশ্মীরের উপর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর থেকে অনেকেরই নিশানা এখন ভূস্বর্গ। এতদিন সেখানে জমি জমা কেনায় বিধি নিষেধ ছিল। অন্য রাজ্যের কেউ সেখানে জমি কিনতে পারতেন না। সেই রাস্তা খুলে খুলে দিয়েছে বিজেপি সরকার। যে কোনো বাসিন্দা শেখ এ জমি কিনতে পারবে, কাশ্মীরি মেয়েদের বিয়ে করলে ওই মেয়েরা পৈতৃক সম্পত্তিও পাবে। তাই নজর গিয়ে পারছে কাশ্মীরের উপর।
এ ব্যাপারে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার। তিনি প্রকাশ্যে হয় হিন্দুদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তোমরা এবার ফর্সা কাশ্মীরি কন্যাদের বিয়ে করো। তার পর থেকে কাশ্মীরি কন্যারা আলোচনার বিষয়বস্তু হইয়ে পড়ে। তার রেশ গিয়ে পারে ইন্টারনেটে। গুগল সার্চ ইঞ্জিন কাশ্মীরি কন্যা খুঁজতে সাড়া পড়ে গেছে। এতদিন ওই সার্চকারীদের তালিকায় সবার শীর্ষে ছিল দিল্লি। তবে রাজধানীকে টপকে সবচেয়ে বেশি 'ম্যারি কাশ্মীরি গার্ল' সার্চ করছে পশ্চিমবঙ্গ। এই সরকার রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে দিল্লি এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে তেলেঙ্গানা। চতুর্থ স্থানে কর্নাটক এবং পঞ্চমে রয়েছে মহারাষ্ট্র।
এছাড়াও 'কাশ্মীরি গার্লস' কিওয়ার্ড দিয়ে গুগলে সবচেয়ে বেশি সার্চ করেছে কেরালা। দ্বিতীয় স্থানে ঝাড়খণ্ড এবং তৃতীয় স্থানে পাহাড়ি রাজ্য হিমাচল প্রদেশ। অগস্টের 'ম্যারি কাশ্মীরি গার্ল' সার্চে একে অপরকে রীতিমতো টক্কর দিয়েছে দিল্লি-পশ্চিমবঙ্গ।
৩৭০ ধারা বাতিল পদ্ধতি ঘোষণার পর পরই গুগলে ছড়িয়ে গিয়েছিল 'কাশ্মীরি গার্ল পিক' সার্চ। এই কিওয়ার্ডেও বাংলা থেকে বহু সার্চ হয়েছে। পিছনেই রয়েছে বিহার ও উত্তরপ্রদেশ। 'ম্যারি কাশ্মীরি' কিওয়ার্ডেও এই রাজ্য থেকে উল্লেখযোগ্য সার্চ হয়েছে গুগলে। এই কিওয়ার্ডেও দ্বিতীয় স্থানে দিল্লি এবং তৃতীয় স্থানে কর্নাটক। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে তেলেঙ্গানা ও কেরালা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct