গোরক্ষকদের হাতে গণপিটুনির ঘটনা এখন আকছার ঘটে দেশে। এই পিটিয়ে হত্যার বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অমর্ত্য সেন থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এ রাজ্যেও। সরাসরি গো রক্ষকরা না হলেও সাম্প্রদায়িক বাহিনী অহেতুক পেটাচ্ছে নিরীহদের। তা নিয়ে নিন্দার শেষ নেই। তবে পিটিয়ে হত্যার বিরুদ্ধে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল বিভিন্ন রাজ্যকে যে পিটিয়ে হত্যা রুখতে আইন করতে হবে। তা অনুসরণ করেছে
মণিপুর ও রাজস্থান। এবার ওই দুই রাজ্যের অনুসারী হইয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে পশ্চিমবাংলাতেও চালু হতে চলেছে গণপিটুনি বিরোধী আইন। এই আইনে থাকছে গণপিটুনিতে কেউ নিহত হলে দোষী ব্যক্তির যাবজ্জীবন কিংবা তিন বছরের কারাদণ্ড এবং এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা শুধু ৩ বছরের জেল অথবা সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা জরিমানা হবে। ৩০ আগস্ট গণপিটুনি বিরোধী এই বিল পেশ হতে চলেছে রাজ্য বিধানসভায়।
গণপ্রহারে যদি কেউ গুরুতর আহত হন, সেক্ষেত্রে দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা জরিমানা এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং সেই সঙ্গে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা শুধু যাবজ্জীবন কারাবাসের বিধি ধার্য করা হয়েছে।
এমন ঘটনায় যদি কেউ নিহত হন বা খুন করার জন্য মারা হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়, সেক্ষেত্রে জরিমানা বেড়ে সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকা এবং বা অথবা সারা জীবন কারাবাসের শাস্তি হবে।
এমন ঘটনায় যদি কেউ নিহত হন বা খুন করার জন্য মারা হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়, সেক্ষেত্রে জরিমানা বেড়ে সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকা এবং বা অথবা সারা জীবন কারাবাসের শাস্তি হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গণপিটুনির শাস্তিবিধান সংবলিত রায় দিয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে সব রাজ্যকে আইন তৈরির নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। আদালতের নির্দেশ মানার বিষয়ে পথিকৃৎ হয় মণিপুর। ২০১৮ সালেই রাজ্যের এক এমবিএ স্নাতক মুসলিম যুবক গণপ্রহারে মারা যাওয়ার পরে তীব্র বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে। তার জেরে বছরের শেষে গণপিটুনি বিরোধী বিল পাশ করে মণিপুর বিধানসভা। এবার সেই পথে হাঁটল পশ্চিমবঙ্গ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct