শহর কলকাতা শুধু নয়, জেলাতেও এখন ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। ডেঙ্গুর জ্বর ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। হাসপাতালগুলিতে প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্তের রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। সাধারণ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্তদের সাধারণ সতর্কতা মিনবা পরিচর্চা না করায় ঝরছে প্রাণ। একটু সাবধান হলে তা কমানো হেটে পারে বলে চিকিৎসকদের মত।
সাধারণত ডেঙ্গু হলে প্রচণ্ড জ্বর, তীব্র পেট ব্যথা, শরীরের মাংসপেশী ও মেরুদণ্ডে ব্যথার পাশাপাশি বমি বা বমি বমি ভাবও হচ্ছে।
সাধারণত ডেঙ্গু হলে দুই ধরনের জ্বর হয়, যার একটা হেমোরেজিক জ্বর এবং অন্যটা হচ্ছে শক সিন্ড্রোম জ্বর। হেমোরেজিক জ্বর হওয়ার প্রধান কারণ মাত্রাতিরিক্ত প্লাটিলেট কমে যাওয়া। যার ফলে রক্তক্ষরণ হয়। তবে এইবার প্লাটিলেট কমে যাওয়ার পাশাপাশি শক সিন্ড্রোম বেশি হচ্ছে। শক সিন্ড্রোমের কারণে ব্লাড প্রেশার অনেক কমে যাচ্ছে। প্লাজমা লিকেজ হয়ে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যাচ্ছে, যার কারণে মাল্টিপল অরগ্যান ফেইলিউর হয়ে রোগীরা মারা যাচ্ছে। তাই একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর জন্য সঠিক পুষ্টির প্রয়োজন। তাকে যথাযথ ডায়েট দেওয়া হলে প্লাটিলেট অতিরিক্ত কমে যাওয়া, পানিশূন্য হওয়ার ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
চিকিৎসকরা বলছেন,
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে প্রচুর পরিমাণ তরল জাতীয় খাবার দিতে হবে, যেন তার শরীরে জলশূন্যতা তৈরি না হয়। এজন্য ডাবের জল, ফলের জুস (কমলা, মাল্টা, আনারস, বেদানা, তরমুজ) আদার রস, গ্রিন-টি বা হারবাল চা এবং লেবুর শরবত খাওয়াতে হবে। প্রতি দিন অন্তত তিন লিটার জল খাওয়াতে হবে। ডাল পাতলা করে, সবজি ও মুরগির মাংস দিয়ে স্যুপ রান্না করে খাওয়ানো যেতে পারে। শিং, মাগুর, পাবদা এসব মাছ ঝোল করে কম তেল-মসলা দিয়ে রান্না করে খাওয়ালেও জলশূন্যতা দূর হয় সহজে। পাশাপাশি প্রোটিনের চাহিদাও পূরণ হয়। এছাড়া নরম ও সহজপাচ্য খাবার যেমন পাতলা খিচুড়ি, দই খাওয়ানো বাঞ্ছনীয়।