খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলায় এবার নতুন মোড়। এই মামলার ১৯ জন আসামি বৃহস্পতিবার নগর দায়রা আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করেছেবলে জানা গেছে। এই মামলায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এই ১৯ যান বিস্ফোরণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে তাদের কি শাস্তি হবে তা অপেক্ষায়।
গতকাল মামলার বিচারের ধার্য তারিখে হাজির করা হয় আসামিদের। মামলার বিচারক সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলালের কাছে আগেই পেশ করা হয়েছিল ১৯ আসামির দোষ স্বীকার করার আবেদন। বিচারক জানতে চান, তাঁরা কারও প্ররোচনায় দোষ স্বীকার করার আবেদন করেছেন, নাকি স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করছেন? এরপর একে একে ১৯ আসামি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
আগে বিচারক বলেছিলেন, দোষ স্বীকার করলে তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে, তা কি তাঁরা জানেন? আসামিরা বলেন, ‘জানি।’ তখন আদালত বলেন, ‘তবু দোষ স্বীকার করছেন?’ আসামিরা উত্তর দেন, ‘হ্যাঁ।’ তাঁরা বলেন, তাঁরা তাঁদের সম্ভাব্য শাস্তি সম্পর্কে অবগত আছেন। ওই দিন বিচারক এই মামলার প্রধান তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, যাঁরা দোষ স্বীকার করছেন, তাঁদের কী শাস্তি হওয়া উচিত? জবাবে ওই কর্মকর্তা জানান, আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি দিন তাঁদের। তবে ওই দিন মূল অভিযুক্ত কাওসর ওরফে বোমা মিজান, কদর গাজি, ডালিম শেখ, ইউসুফ শেখ দোষ স্বীকার করেননি।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে খাগড়াগড়ের একটি বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) দুই সদস্য বিস্ফোরণে নিহত হন। এই ঘটনার তদন্তভার নেয় ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ)। খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলার বিচার চলছে কলকাতায় বিশেষ নগর আদালতে।
গত বছরের আগস্ট মাসে এনআইএ গ্রেপ্তার করে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলার মূল অভিযুক্ত কাওসার ওরফে বোমা মিজানকে। ঘটনার চার বছর পর এনআইএ তাঁকে গ্রেপ্তার করে বেঙ্গালুরুর রামনগর এলাকা থেকে। এর আগে কাওসারকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এনআইএ ১০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করেছিল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct