সারা বিশ্বের কন্টেন্ট ক্রিয়েটাররা আগে শুধুমাত্র ইউটিউব কেন্দ্রিক থাকলেও এখন তারা ঝুঁকছেন ফেসবুকের দিকেও। কারণ ইউটিউবে ভিউ বাবদ যেভাবে আয় করার সুযোগ থাকে, তেমনি ফেসবুকেও আয় করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। অধিকাংশ মানুষ অবসর সময়ে ফেসবুকে বেশি মজে থাকেন। দিন দিন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। নানা ধরণের ভিডিও কন্টেন্ট এই বিপুল পরিমাণ ইউজারদের ফেসবুকের সাথে বেঁধে রাখছে। ফেসবুক এখন আর শুধু যোগাযোগের জায়গা নেই। এটা এখন এন্টারটেইনমেন্টের জন্যই বেশি ব্যবহার হয়। অনেকে পছন্দ করেন ফানি ভিডিও। সারা দুনিয়ার মানুষ কন্টেন্টগুলোই বেশি দেখে। ফেসবুকে জনপ্রিয় কন্টেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে ফানি ভিডিও, ফ্যাশন ভ্লগ, ট্রাভেলিং, ডিআইওয়াই, মিউজিক কভার, রান্নাবান্না অথবা শিক্ষণীয় নানা বিষয়। এই কন্টেন্ট পাশাপাশি ইদানিং সুবিধা আরও বেশি কারণ এ বছর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়ের ব্যাপারটা যুক্ত হয়েছে। সেইসঙ্গে ভিডিওতে যেন ভিউ বেশি হয়, সেজন্য একটা ওয়াচ পেইজও এসেছে। মূলত এজন্য এখন নতুন কন্টেন্ট ক্রিয়েটাররা কিন্তু ফেসবুকের দিকে ঝুঁকছে। স্টুডেন্ট লাইফে নিজের প্রিয় কাজ থেকে যদি একটা পকেট মানি আসে। ফেসবুকে আগে একটি ভিডিও ভাইরাল করতে প্রতিটি পোস্ট বুস্ট করা বাবদ একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ খরচ করা লাগতো। কিন্তু এখন বিষয়টি উল্টো। ভিডিওর ভিউয়ার সংখ্যা বাড়লে ইউটিউবের মতো বরং আয় করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সেটা কীভাবে সম্ভব হচ্ছে? আসলে আগে ফেসবুকে নরমালি ভিডিও দেখতাম। এখন ভিডিওর চলার মাঝখানে দশ সেকেন্ডের ননস্টপ একটা অ্যাড চলে আসে। এটাকে থ্রু প্লে বলা হয়।এটার মাধ্যমে একজন ডিজিটাল মার্কেটার তার ক্লায়েন্ট থেকে কোন ভিডিও এনে সেটা প্রমোট করলো। যখন মানুষ কোন ভিডিও দেখবে তখন সেটার মাঝখানে এই অ্যাডগুলো চলবে।এই ভাবে সেই ভিডিওগুলো কতবার ভিউ হল, এটার ওপর বেইস করে ফেসবুক একটা চার্জ রাখে। আর যেহেতু একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটারের একটা ভিডিওর ভেতরে অ্যাড যাচ্ছে, সেই অ্যাডের একটা পার্সেন্টেজ ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কন্টেন্ট ক্রিয়েটাররাও পেয়ে যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct