টানা পাঁচদিন অবরুদ্ধ থাকার পর কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ শনিবার বিকেলে কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিলেন। ঈদের কেনাকাটা করার জন্য শনিবার কারফিউ কিছুটা শিথিল করা হয়েছিল। শ্রীনগরে শাটারও উঠেছিল বহু দোকানের। বহু মানুষ রাস্তায় বেরিয়েছিলেন ঈদের কেনাকাটার পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতেও। বকরি ঈদ উপলক্ষ্যে পশু বেচতে শ্রীনগরের একটি রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়েছিলেন এক কাশ্মীরি যুবক। মুহুতের মধ্যে তাঁকেও সেখান থেকে সরে যাওয়ার নিদেশ দেয় পুলিশ। পরে তীব্র ক্ষোভ আর হতাশা নিয়ে দিলনওয়াজ পাশা নামক ওই যুবকটি বলেন, ‘সত্যি বলতে এটি কোনও ঈদ নয়, এটা এবার শোকের ঈদ। যখনই মুসলিমদের কোনো উৎসব আসে, তখনই কোনো না কোনো গণ্ডগোল তৈরি হয়। ভারতকে বুঝতে হবে, এটা আমাদের জন্য একটি বড় দিন, এটি আত্মত্যাগের দিন।’ জানা গিয়েছে, ঈদের আগে কাশ্মীরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে গ্রামের বহু খামারি এবার শহরে গিয়ে পশু বিক্রি করতে পারছেন না। তারা বিরাট সঙ্কটে পড়েছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct