এই মুহূতে পুরো কাশ্মীর জুড়ে কারফিউ জারি। বন্ধ দোকানপাট। ফলে বাড়িতে আটকে থাকা বহু মানুষের মজুত খাবার ফুরিয়ে গিয়েছে। ৩৭০ ধারা এবং কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলুপ্ত হওয়ার পর সেখানকার পরিস্থিতি উঠে এসেছে বহু সাংবাদিকের মুখ থেকে। এ বিষয়ে রয়টাসের এক সাংবাদিক বলেন, ‘শ্রীনগরে পা রাখার পর ২৪ ঘণ্টারও বেশি পেরিয়ে গিয়েছে। মনে হচ্ছে যেন মৃত্যু উপত্যকায় এসে পৌঁছেছি। রাস্তাঘাটে একশো গজ পরপরই সেনা চৌকি আর কাঁটাতারের ব্যারিকেড। মানুষের ছোট ছোট কিছু জটলা। সাংবাদিক দেখে অনেকেই এগিয়ে আসছেন কথা বলতে। তারা যে কতটা বিক্ষুব্ধ, সেটা তাদের কথাতেই স্পষ্ট।কেউ কেউ বলছেন, ১০ মিনিটের জন্য কাশ্মীরে জারি করা কারফিউ তুলে নিক সরকার, তারপরই তারা দেখবে দলে দলে কত মানুষ রাস্তায় নামে এর প্রতিবাদ জানাবে।কাশ্মীরে এর আগেও এসেছি, কিন্তু এরকম অবস্থা আমি এর আগে কখনো দেখিনি। কাশ্মীর এখন যেন এক মৃত্যুপুরী। রাস্তাঘাটে কোন লোকজন নেই। অনেকের বাড়িতেই খাবার ফুরিয়ে গিয়েছে। রেশন ফুরিয়ে গিয়েছে। কেনাকাটার জন্য সাহস করে কেউ কেউ বের হচ্ছে না। কিছু কেনার মতো কোন দোকান খোলাও নেই। শ্রীনগরের যেসব জায়গায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছে, তাতে মনে হয়েছে পুরো শহর জুড়ে একটা থমথমে পরিবেশ। চারিদিকে আতঙ্ক আর ক্ষোভ।’