রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেছে বিজেপি সরকার। এর ফলে জম্মু ও কাশ্মীর এখন দু’ভাগে বিভক্ত। একটি জম্মু-কাশ্মীর, অপরটি লাদাখ। দুটিই এখন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। তবে এই পদক্ষেপ যে হিতে-বিপরীত ফল বয়ে আনতে পারে, তার লক্ষণ ইতোমধ্যে দেখা দিচ্ছে।কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার বিষয়টি দার্জিলিংয়েও পৃথক রাজ্যের দাবিকে উসকে দিয়েছে। এবার পশ্চিমবঙ্গ ভাগের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এই জল্পনা আরও উসকে দিয়েছেন ‘গোর্খাল্যান্ড’-এর দাবিতে সরব হওয়া বিমল গুরুং। এক বার্তায় দার্জিলিংয়েও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তের পর এই ধরণের বিষয়গুলি মাথাচাড়া দিতে পারে, এমন আশঙ্কা আগেই করা হচ্ছিল। বিরোধী অনেক নেতার সেই আশঙ্কাকে এবার আরও জোরদার করলেন গুরুং। এ বিষয়ে গুরুং বলেন, ‘কেন্দ্র সরকারকে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি, দার্জিলিংয়েও একইভাবে সমস্যার সমাধান হবে। দার্জিলিংকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করলে তা অত্যন্ত সময়োপযোগী পদক্ষেপ হবে।’ সবচেয়ে বড় আশঙ্কার বিষয় হল, গুরুংয়ের এ দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন পাহাড়ের বাকি দলগুলোর নেতারাও। এমনকি তৃণমূলপন্থী মোর্চা নেতা বিনয় তামাংও এ দাবিকে সমর্থন করছেন। তাদের দাবি, জম্মু কাশ্মীরের ধাঁচে বাংলাকে ভেঙে পৃথক গোর্খাল্যান্ড তৈরি করতে হবে এবং নবগঠিত গোর্খাল্যান্ডকে বিধানসভাসহ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দিতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct