অামেরিকা ও তুরস্কের সঙ্গে কাতারের যৌথ সামরিক মহড়ার প্রস্তুতি নয়েছে৷ রুশ দৈনিক রাশিয়া টুডেতে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এক ইংরেজি দৈনিক বলেছে, মহড়ার উদ্দেশ্যে এরইমধ্যে দুই মার্কিন রণতরী উপসাগরীয় অঞ্চলে পৌঁছেছে। মধ্যপ্রাচ্য কূটনৈতিক সংকট শুরুর পর প্রথমবারের মতো এমন সামরিক মহড়া শুরু হচ্ছে।
৫ জুন সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসরসহ কয়েকটি দেশ।কয়েকদিন পর ডোনাল্ড ট্রাম্প একে মধ্যপ্রাচ্য কূটনীতিতে তার সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেন। এক টুইটার বার্তায় কাতারকে সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। বুধবার রাশিয়া টুডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ওয়াশিংটন-দোহা দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ককে 'অনেক পুরোনো ও বন্ধুত্বপূর্ণ' আখ্যান দেন কাতারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খালিদ বিন মোহাম্মদ আল আতিয়াহ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইট সবসময় আনুষ্ঠানিক নয় বলেও দাবি করেন তিনি।
খালিদ দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র কাতারের আল উদাই বিমান ঘাটির বিকল্প খুঁজবে না। ২০১৪ সালে সম্পাদিত দুই দেশের অস্ত্র চুক্তি আরও মজবুত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। কিন্তু এই বিষয়ে আমাদের কিছুই জানা ছিলো না এবং আমরা খুবই অবাক হয়ছি।’
এই নিষেধাজ্ঞা পেছন থেকে ছুরিকাঘাতের মতো বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘রিয়াদে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে কাতার আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়া হয়েছিলো। এরপরে এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।’
দোহার দক্ষিণে গালফ উপসাগরীয় অঞ্চলে যু্ক্তরাষ্ট্র ও কাতারের ৯টিরও বেশি সামরিক ইউনিট থাকার কথা রয়েছে। বুধবার ইতোমধ্যে হামাদে দুটি মার্কিন রণতরী এসে গেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct