X
১১ জুলাই, ২০১৯, বৃহস্পতিবার০০:০০
বিয়ে করে নতুন সংসার পাতার স্বপ্ন কমবেশি সবার চোখে থাকে। নতুন দাম্পত্য জীবন পূর্ণতা পায় যখন তাদের সন্তান জন্ম নেয়। নিজেদের সমস্ত চাওয়া পাওয়া, স্বপ্ন সব কিছু তাকে ঘিরেই আবর্তিত হয়। কিন্তু এই স্বপ্নের অন্তরায় হতে পারে বন্ধ্যাত্ব। এটা এমন এক সমস্যা, যা সংসার জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে।বন্ধ্যাত্ব মহিলা-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই হতে পারে।তাই সমাধান খোঁজার আগে জানা দরকার কী কী কারণে পুরুষ এবং মহিলার বন্ধ্যাত্ব হয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে, জনন গ্রন্থির শারীরবৃত্তীয় পথে কোনো বাধা থাকলে, শরীরে অতিরিক্ত প্রলাক্টিন থাকলে, পলিসিস্টিক ও ভারী সিনড্রোম থাকলে, অতিরিক্ত বয়স্ হলে, অতিরিক্ত টেনশন বা অবসাদ থাকলে। এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত স্ট্রেস থেকে, স্পার্ম কাউন্ট কম থাকলে, বয়স বেড়ে যাওয়ার কারণে। এবার জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে এই বন্ধ্যাত্ব সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা যায়।
১. যত বেশি সম্ভব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খান। এতে শরীরের জনন গ্রন্থিগুলো আক্রমণকারী পদার্থগুলোকে ধ্বংস করে তাদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। একই সঙ্গে গর্ভধারণ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এর পাশাপাশি স্পার্ম কাউন্ট বৃদ্ধি করে। এজন্য যেকোনো ধরনের সবজি, ভিটামিন সি ও ই সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া ভালো।
২. সব সময় চেষ্টা করবেন সকালের খাবার দিনের অন্যান্য খাওয়া থেকে একটু বৃদ্ধি করা। সুস্থ্য ডায়েট যদি চান অবশ্যই দিনের প্রথম খাবার ভালো হতে হবে। অনেকে মনে করেন যে সমস্ত মহিলারা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম থেকে আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রে সকালের ভারী খাবার অনেকটাই কাজ দেয়।
৩. যতবেশি সম্ভব চেষ্টা করবেন ট্রান্স ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার না খাওয়া। সাধারণত মার্জারিন, প্রসেসড ফুড এবং অন্যান্য খাবার, যেগুলোতে ফ্যাট বেশি আছে-এসব পরিত্যাগ করা দরকার। একই সঙ্গে কম কার্বোহাইড্রেট খাওয়া শুরু করুন।এতে শরীরে ইনসুলিনের লেভেল কমবে।
৪. শরীরের প্রয়োজনে যে সব মহিলারা মাল্টিভিটামিন খান, তাদের বন্ধ্যাত্বজনিত সমস্যা অনেক কম হয় বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর সঙ্গে গ্রীন টি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন বি৬ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার।
৫. অ্যালকোহল খাওয়া বন্ধ করুন। ধূমপানের নেশা থাকলেও তা বন্ধ করুন।কারণ এটি পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট কমায়। একই সঙ্গে ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় খাওয়া বন্ধ করুন বা পরিমিত সেবন করুন।
৬. বসে থাকলে শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে থাকে। যেটা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। নিয়মিত শরীরচর্চা করুন এবং আয়রন সমৃদ্ধ খাবার প্রচুর পরিমাণে খান।
