প্রথমবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের৷ লর্ডসে এক জমজমাট ফাইনাল উপহার দিল মেয়েদের বিশ্বকাপ। বাঙালি বোলার ঝুলন গোস্বামির জোরদার বোলিং অার রাউতের ভাল ব্যাটিং সত্ত্বেও শেষ রক্ষা হল না ভারতের৷ রবিবার আনিয়া শ্রাবসোলের অবিশ্বাস্য বোলিং নৈপুণ্যে তাদের ৯ রানে হারিয়ে চতুর্থবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলো ইংল্যান্ড।
লরেন উইনফিল্ড ও ট্যামি বিউমন্টের উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরু হয়েছিল ইংল্যান্ডের। কিন্তু ৪৭ রানে রাজেশ্বরী গায়েকোয়ারের বলে এ জুটি ভাঙতে বাধে বিপদ। পুনম যাদবের জোড়া আঘাতে ১৬ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সারা টেলর ও নাটালি স্কিভার হাল ধরেন দলের। তাদের পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটিতে স্বস্তি ফেরে। ব্যক্তিগত ৪৫ রানে যখন টেলর আউট হন তখন ভাঙল ৮৩ রানের জুটি। ঝুলন গোস্বামী টানা দ্বিতীয় উইকেট পান ফ্রান্সেস উইলসনকে ফিরিয়ে।
স্কিভার ৫১ রানে প্রতিরোধ গড়েন অনেকক্ষণ। তার সঙ্গে ক্যাথেরিন ব্রান্টের ৩৪ ও জেনি গুনের অপরাজিত ২৫ রানের সুবাদে দলীয় স্কোর দুইশ ছাড়ায়। ৭ উইকেটে ২২৮ রান করে ইংল্যান্ড।
খুব বড় স্কোর নয়। ভারতও লক্ষ্যে ছুটছিল স্বাচ্ছন্দ্যে। ৪৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর পুনম রাউত ও হারমানপ্রীত কৌরের জুটিতে সহজ জয়ের ইঙ্গিত পেয়েছিল ভারত। সেমিফাইনালে দুর্দান্ত ইনিংস খেলা হারমানপ্রীত আউট হন ৫১ রানে। ভারতকে খুব বেশি দুশ্চিন্তায় ফেলেনি তার উইকেট। কারণ সেঞ্চুরির হাতছানি পাচ্ছিলেন পুনম। কিন্তু ১৪ রানের আক্ষেপ থেকে যায় এ ওপেনারের। দলীয় ১৯১ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হয়ে শ্রাবসোলের দ্বিতীয় শিকার হন পুনম। তার ৮৬ বলের ইনিংস সাজানো ১১৫ বলে, চারটি চার ও ১টি ছয়ের।
পুনম আউট হন দলকে ৩৮ রান দূরে রেখে। তখনও ভারতের হাতে ছিল ৬ উইকেট। কিন্তু এ ওপেনারকে ফেরানোর পরই অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। শ্রাবসোলের ডানহাতি পেসে বিপর্যস্ত ভারত। দুই ওভারে তার জোড়া আঘাতে ২৩ রানের ব্যবধানে বাকি ৬ উইকেট হারায় দ্বিতীয় ফাইনাল খেলতে আসা দলটি। ৪৮.৪ ওভারে ২১৯ রানে অলআউট হয় ভারত।
৯.৪ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন শ্রাবসোল। অ্যালেক্স হার্টলি নেন ২ উইকেট। বাকি দুই উইকেট গেছে রানআউটে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct