কাতার নিয়ে চলছে এখন টানাপোড়েন৷ বিশেষ করে সৌদি অারব অার কাতারের মধ্যে৷ সেই মতবিরোধ দূর করার লক্ষ্যে রবিবার দুই দিনের সফরে সৌদি আরব, কুয়েত ও কাতার সফরে যাচ্ছেন্ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। সন্ত্রাসবাদকে মদত দিচ্ছ এমন অভিযোগ ছিল কাতারের বিরুদ্ধে৷ এ নিয়ে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং কাতারের ওপর অবরোধ চাপিয়ে দেয়। যদিও তাদের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে কাতার৷
ঘটনার মূলে কাতার সরকার পোষিত অাল জাজিরা টিভি চ্যানেলকে বন্ধ করা নিয়ে৷ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে প্রতিবেশি অারব দেশগুলো কাতারের কাছে এক ডজনেরও বেশি দাবি উত্থাপন করে। এসব দাবির মধ্য আল জাজিরার টেলিভিশনের বন্ধ করে দেয়া, ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং তুর্কি সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করা প্রভৃতি৷
ফলে এরদোগানের কাতার সফর গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে৷ শুক্রবার এ নিয়ে এরদোগান বলেছিলেন ‘ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলোর মধ্যে চলমান বিরোধের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা কাজ করে যাব। রাজনৈতিক সমস্যাগুলো হচ্ছে অস্থায়ী, পক্ষান্তরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক হচ্ছে স্থায়ী এবং আমি আশা করি উপসাগরীয় দেশগুলোর বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের বিষয়টি বেছে নিবেন।’
তাই সঙ্কট নিরসনে এরদোগান রবিবার সৌদি আরব, কুয়েত ও কাতার সফরে যাওয়ায় মধ্যপ্রাচ্য তাকিয়ে অাছে এই সফরের দিকে৷ তবে কাতারের অন্যতম বিশ্বস্ত সহযোগী হওয়ায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এরদোগান কতটা সফল হবেন তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই অাছে৷
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct