গত তিনবছর আগে জিন্দাল কর্তা সজ্জন জিন্দাল বলেছিলেন শালবনীতে ইস্পাত কারখানা হচ্ছেনা কাঁচামালের অভাবে ৷ তাই জমি ফেরত দেবেন ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কথা বলে তাঁদের বিকল্প শিল্পে নামতে উত্সাহ দিয়েছিলেন ৷ ফলে হতাশ জমিদাতারা আশার আলো দেখতে পেয়েছিলেন ৷ বুধবার ফের সজ্জন জিন্দালের পুত্র তথা জিন্দাল সিমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পার্থ জিন্দাল ঘোষনা করেছেন দেড়শো একরের বেশি জমি তাঁরা সরকারকে ফেরত দিতে চাইছেন ৷ ফলে উদ্বৃত্ত জমিতে কোনো কারখানা জিন্দালরা করছেনা জেনে ফের হতাশ শালবনীর জমিদাতারা ৷ কারন ২০০৮ সাল থেকে জমি দিয়ে চাকরির অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা ৷ এই ঘোষনাতে সরকারের দ্বারস্থ্য হওয়র কথা জানালেন তাঁরা ৷
২০০৭ সাল থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীর জামবেদিয়াতে ইস্পাত কারখানা করার জন্য জমি অধিগ্রহন শুরু করেছিল তত্কালীন বাম সরকার ৷ প্রায় পাঁচ হাজার একর জমি অধিগ্রহন করা হয়,যার মধ্যে সাড়ে চারশো কৃষকের কাছ থেকেও রায়ত জমি কিনতে হয়েছে ৷ এই জমি নিয়ে জিন্দাল কোম্পানী ঘোষনা করেছিল জমিদাতাদের মুল্য এখুনি মিটিয়ে দিয়ে কারখানা হলে সমপরিমান শেয়ার ও দাতা পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে ৷ ২০১২ এর মধ্য কারখানা তৈরী করে সেখানে উত্পাদন হওয়ার কথা ৷ কিন্তু এই সময়ে তো হয়ই নি, উল্টে জমি ফেলে রেখে ২০১৪ সালে সজ্জন জিন্দাল ঘোষনা করেন ইস্পাত কারখানা হচ্ছেনা কাঁচামালের অভাবে,তাই জমি ফেরত দিতে চান তাঁরা ৷ জমিদাতার ক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ৷ ৮ বছর ধরে জমি দিয়ে যে চাকরী,সুদিনের অপেক্ষা করেছিলেন তা তাদের দিতেই হবে বলে দাবি করেন জিন্দালের কাছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় হস্তক্ষেপ করে সেই জটিল পরিস্থিতির সমাধান করেন ৷ জিন্দালের সঙ্গে কথা বলে সিমেন্ট কারখানা শুরু করান ৷ গত দুসপ্তাহ আগেই জিন্দালের সেই সিমেন্ট উত্পাদন শুরু হয়েছে ৷তাতেই আশার আলো দেখতে শুরু করেছিল জমিদাতারা ৷ কারন ইতিমধ্যেই সাড়ে চারশোর মধ্যে দুশোর বেশি জমি দাতা সিমেন্ট কারখানাতে কাজ পেয়েছিলেন ৷ এরই মাঝে জিন্দাল সিমেন্ট এর কর্ণধার পার্থ জিন্দাল বুধবার কলাকাতায় জানিয়ে দেন ১৫০০ একর জমি রেখে ২৮৩৪ একর জমি ফেরত দেবেন ৷ সেখানে রাজ্য সরকার অন্য শিল্পও করতে পারেন ৷
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct