অকালে চলে গেলেন তপোবিজয় ঘোষ। তাঁর দু-চারটি ছোটগল্প অবিস্মরণীয়। যেমন ‘গণতন্ত্র কে বাবু’। গল্পের কাহিনীটা এই রকম: কোন এক রাজনৈতিক দল কোন এক গ্রামে সভার আয়োজন করেছে। শহর থেকে সে দলের নেতা এসেছেন বক্তৃতা করতে। শাসকদল কিভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে সে সম্বন্ধে জ্বালাময়ী বক্তৃতা হল। গণতন্ত্র বাঁচানোর তীব্র শ্লোগান দেওয়া হল। সভা শেষ। মাঠ প্রায় ফাঁকা। দু-একজন কর্মী গোছগাছ করছেন। সেই সময় একজন মুখ্যু চাষি তাঁদের কাছে এসে জানতে চায়: ‘ বাবু, এতক্ষণ যে গণতন্ত্রের কথা বললেন, সে কে বাবু?’
গণতন্ত্র বিষয়ে গাঁয়ের মুখ্যু চাষির সঙ্গে শহরের লেখাপড়া জানা লোকের খুব বেশি পার্থক্য নেই। মুখ্যু চাষি তবু গণতন্ত্রকে মানুষ বলে ( ‘গণতন্ত্র কে বাবু’ ) মনে করে, লেখাপড়া জানা লোকের অবস্থা আরও করুণ। এত জেনে-বুঝেও তারা গণতন্ত্রকে চিনতে পারে না। ওটা বস্তু না প্রাণী, মানুষ না জন্তু, দোপায়া না চারপায়া – তা ঠিক করতে পারে না। শুধু দেখতে পায় সাদা কালো লাল নীল সব দলের লোকই ক্রমাদত গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে চিল্লে চলেছে। আগে কেবা প্রাণ করিবেক দান। সকলেই গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আত্মপ্রাণ বলি দিতে চায়। শপথ গ্রহণ করে। তাই মনে হয় গণতন্ত্র জিনিসটা খুব সরেস।
আরও একটা কথা মনে হয়। বইটই পড়ে গণতন্ত্রকে বোঝা যায় না। ওটা সবসময় ফলিত জিনিস। যে যেমন করে পারে ফলাবে। ইংল্যান্ড একরকম করে ফলিয়েছে, আমেরিকা একরকম করে ফলিয়েছে, ভারত-টারত আর একরকম করে ফলাচ্ছে। গণতন্ত্র অনেকটা জলের মতো। যে পাত্রে রাখা হবে, সেরকম আকার নেবে। পাত্রবিশেষে তার আকার বদলাবে। কংগ্রেসের গণতন্ত্র, বিজেপির গণতন্ত্র, কমিউনিস্টদের গণতন্ত্র-এক এক রকম। তবে একটা সাধারণ ধর্ম আছে অবশ্য। সেই সাধারণ ধর্ম আবিষ্কার করেছেন আমাদের এক বন্ধু। তিনি এক-আধটু ভাষাতত্ত্ব নিয়ে চর্চা করেন।
তাঁর মতে জনগণের নিকট হইতে ফায়দা লুটিবার তন্ত্রের নামই গণতন্ত্র। তিনি অনুমান করেছেন যে ‘তন্ত্র’ শব্দটি ‘মন্ত্র’ শব্দের বিকৃত রূপ। মন্ত্র মানুষকে আবিষ্ট করে একেবারে নট নড়ন চড়ন করে দেয়। গোদা বাংলায় ঘাবড়ে ঘোড়া হয়ে যায়। মন্ত্র যে পড়ে তার কথামতো কাজ করে যায় ।যেমন অজগর সাপের পলকহীন চোখের দিকে তাকিয়ে মানুষ নিজের অজান্তে তার মূখগহ্বরের দিকে এগিয়ে যায় , ঠিক তেমনি গণতন্ত্রের পুরোহিতরা মন্ত্র পড়িতে শুরু করেন, সে অমৃতবাণী শুনিতে শুনিতে জনগণ বাহ্যজ্ঞান হারাইয়া ফেলে, এক পা এক পা আগাইয়া আসিয়া শিকার হইয়া যায়। শিকার সর্বদাই জনগণ। একনায়কতন্ত্রী যেমন শিকারী, তেমনি শিকারী গণতন্ত্রীও। তবে পার্থক্য আছে একটু। একনায়কতন্ত্রীদের চোখের চামড়া নাই। কোনদিকে না তাকিয়ে, রাখঢাক না করে তারা জনগণকে খপাৎ করে গিলে ফেলে। গণতন্ত্রীরা একটু লাজুক. আপাত ভদ্র। তাই তারা প্রথমে রচনা করে মায়ার জাল, মধুর মধুর বচনে আবিষ্ট করে জনগণেশকে, তারপর ড্রাকুলার মতো নিঃশব্দে রক্তপান করে।
বড় বড় কেতাবে গণতন্ত্রের মহিমার কথা কত কি লেখা আছে। গণতন্ত্রে জনগণই ক্ষমতার উৎস, এখানে সকলে সমান, আইনের শাসন থাকে, দেশপ্রেম বিকশিত হয়, সামাজিক শৃঙ্খলা আসে, ব্যক্তির সুপ্ত প্রতিভা জেগে ওঠে ....। সিলি, ডাইসি, লর্ড বরোইস, ম্যাকাইভার, আব্রাহাম লিঙ্কন, পল সুইজি, বেন্থাম, স্টুয়ার্ট মিল, আর্নেস্ট বার্কার—ইত্যাদি বড় বড় পণ্ডিতরা জোরালো সওয়াল করেছেন গণতন্ত্রের পক্ষে। কথায় বলে না, বড় বড় বাঁদরের বড় বড় লেজ ! সেই লেজের ঝাপটায় আগের আগের শতকে গণতন্ত্র মার হাব্বা করে ছড়িয়ে পড়েছিল চাদ্দিকে। পতন হয়েছিল হিটলার, মুসোলিনী, ফ্রাঙ্কো, পিনোচেত, সুহার্তো, নে উইন, মার্কোসের।
তবে কিনা, ভূত ছিল সর্ষের মধ্যে।
জনতার শাসন জনতার শাসন বলে ঢাক পিটালেও শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্র মুষ্টিমেয় মানুষের শাসনেই পরিণত হয়। গণতন্ত্রে দল একটা বড় ফ্যাক্টর। ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠতে থাকে নানা দল। ভোটস্পৃহা চঞ্চল হয়ে ওঠে। তাই শেষমেষ গণতন্ত্র পরিণত হয় দলতন্ত্রে। দল যস্য বল তস্য। গলাবাজি করে বলা হয় বটে জনতার মতের কথা, আসলে তা দলের মত। এক এক দলের এক এক মত। লালের এক, নীলের এক, সবুজের এক, গেরুয়ার এক। মতের অরণ্য। প্রত্যেকের যুক্তি আছে। আছে পরিসংখ্যান। এর মধ্যে কোনটা ঠিক জান সাধু যে বুঝ সন্ধান। লেগে থাকে দলের সঙ্গে দলের লড়াই। ক্ষমতা দখলের লড়াই। সেখানে নীতি-ধর্ম-বোন-ভাই কিছু নেই। ক্ষমতা দখলের জন্য চাণক্যনীতি। ছল বল কৌশল। শাসানি, বুথ দখল, কারচুপি, মুদ্রারাক্ষসের লীলা। এভাবেই ক্ষমতা লাভ। সেটাই নাকি জনাদেশ। ভোটের পর সব শেষ। তারপর শুরু হয় লেংগিবাজি। সাংসদ-বিধায়ক কেনাবেচা। কেনাবেচার শিল্পকর্ম সফল হলে ওল্টায় সরকার। আবার ভোট। এসব নাকি জনাদেশ। আসলে দলাদেশ। জনতা বলির পাঁঠা। জনতা কলুর বলদ। জনতার নাম নিয়ে চলে ঘোমটার ভিতর খ্যামটা নাচ। গণতন্ত্রের কি মহিমা ! লাগ ভেলকি লাগ, লাগ ভেলকি লাগ। গণনিধনকারী গণতন্ত্রের শত্রুরা ভাগ ।
নামে গণতন্ত্র, তারই ভেতর দিব্যি চলে স্বজন-পোষণ, চলে বংশগত শাসন। গণতন্ত্রের সিঁড়ি বেয়ে আমি যখন ক্ষমতা লাভ করেছি, তখন আমার পোলাপান আর আত্মীয়বন্ধুরা ভাগ পাবে না তার !কিউবার ফিদেল কাস্ত্রো, নিকারাগুয়ার ওর্তেগো, ইরাকের সাদ্দাম হোসেন সৈন্যবাহিনীতে ঢুকিয়ে দিয়েছেন নিজেদের আত্মীয়-বান্ধবদের। খেয়ে পরে সুখে আছে বাছারা। আমেরিকার ব্যবস্থা অভিনব। দুনন্বরী পথে পয়সা রোজগার করবে বাপ, আর তাঁর নিরাপত্তার জন্য ছেলে ঢুকবে রাজনীতিতে। বাপের দিকে আঙুল তুললে রে রে করে তেড়ে আসবে ছেলে। কেনেডি আর রকফেলারদের কথা ভাবুন। বাদ যায় না কমিউনিস্ট দেশগুলি। চিনে জাতীয় নেতাদের ছেলেপুলেরা ব্যবসা করছে চুটিয়ে। কলাগাছ হচ্ছে আঙুল ফুলে। বাপ-কাকারা তাদের নিরাপত্তা দেখছে। স্টালিনের ছেলে ভ্যামিলি মস্কো মিলিটারি ডিস্ট্রিক্ট-এর লেফটেনান্ট হলেন, হলেন এয়ার কম্যান্ডার। ক্রুশ্চভের জামাইবাবাজি হলেন ‘ইজভেস্তিয়া’র সম্পাদক। ব্রেজনেভের জামাই হলেন বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী। উত্তর কোরিয়ার কিম দ্বিতীয় সুঙের ছেলে রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভ করে ৩০জন আত্মীয়কে নানা রাজনৈতিক পদ দান করলেন। কেউ হলেন প্রধানমন্ত্রী, কেউ উপরাষ্ট্রপতি, কেউ আবার স্পিকার। ফিলিপিনসের আ্যাকুইনো তাঁর খুড়ো, ভাই ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের নিয়ে এলেন ক্ষমতার অলিন্দে। আ্যন্টিগুয়াতে বার্ড পরিবারের রাজত্ব চলেছিল ৫০ বছর। শ্রীলঙ্কার রাজসিংহাসনে বন্দরনায়েকরা বসেছিলেন জাঁকিয়ে। মায়নামারের সান সু কাই আর ইন্দোনেশিয়ার মেগাবতীর উথ্থানও পারিবারিক সিঁড়ি বেয়ে। শেখ মুজিবরের কন্যা হাসিনা হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তানের বেনজির ভুট্টো জুলফিকার আলি ভুট্টোর কন্যা। ভারতে বংশানুক্রমিক রাজত্ব করে চলেছিলেন গান্ধী-নেহেরু পরিবারের সদস্যরা ।
যেই ভারতের কথা এল অমনি স্মরণে এল যে ভারত বিশ্বের বৃহত্ত্ম গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে নির্বাচন হয় নিয়মিত। দেশ শাসন করে নির্বাচিত সরকার। আগে এখানে ছিল এক দলের সরকার। সে দল কংগ্রেস। ইন্দিরা-রাজীব পর্যন্ত। তারপর এক দলের কোমরের জোর কমে গেল। এল বহুদলের সরকার। ভি পি সিং থেকে শুরু। কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম নামে একটা জাদুমন্ত্র তৈরি হল। সেই সূত্রে রাম-শ্যাম-যদু-মধু জোটবেঁধে সরকার গঠন করল। অল্পদিনেই লাট খেতে লাগল সে সরকার। তবু তো পুষ্ট হল গণতন্ত্র। জয় গণতন্ত্রের জয়। আমাদের মহান দেশের সব দল দোহাই দেয় গণতন্ত্রের। ভোটে জেতে কারচুপি করে, বলে জয় গণতন্ত্রের জয়। ভোটের জন্য ধারাবাহিকভাবে জাত-পাতের রাজনীতি করে যায়, বলে জয় গণতন্ত্রের জয়। সমালোচকের পেছনে গোপনে লাগায় গুন্ডা বা পুলিশ, বলে আমরা গণতন্ত্রের একনিষ্ঠ পুজারী মহাশয়। যেমন সরকার পক্ষ গণতন্ত্রের ভক্ত, তেমনি বিরোধীরা। তারাও গণতান্ত্রিক পথে সরকারকে লেঙ্গি মারে, সুযোগ পেলে পথে বসায়। দেশময় হই হই করে ঘুরে বেড়ায় গণতন্ত্রের তরঙ্গ।
জয় গণতন্ত্রের জয়। বল হরি হরি বোল। নাও খোল, নাও কত্তাল। এসো সবাই মিলে গণহীন গণতন্ত্রের জয়ধ্বনি করি। পৃথিবীর মহামূল্যবান বস্তুটিতো আমরা পেয়েছি। তার নাম ভোটাধিকার। সেটাই গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ। তোমাদিগের প্যাটে ভাত থাকুক বা না থাকুক, জীবিকার সংস্থান থাকুক বা না থাকুক, ন্যূনতম শিক্ষালাভের সুযোগ থাকুক বা থাকুক--- ভোট দিবার অধিকার তো আছে। তুমি ভোটের কাগজে টুক করিয়া ছাপ মারিয়া শাসকের পরিবর্তন তো করিতে পার। ইহা কি কম !
না, নিন্দুকের কথায় কান দেবার দরকার নেই।
তারা রটনা করে নানা কথা। যতসব কুকথা। তারা বলে এদেশে নাকি গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের অভাব আছে। জাত-পাত-ধর্মের ভেদ তার কারণ। ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলের ভিন্ন ভিন্ন রঙ। সাক্ষরতার অভাব। চেতনার অভাব। বিচারবুদ্ধির অভাব। দারিদ্র্যের ফলে প্রলোভনে আসক্তি। রাজনৈতিক দলগুলি গণতন্ত্র গণতন্ত্র করে চেল্লায় বটে, তারা কিন্তু তারা ভেদ-বিভেদ বজায় রাখতে চায়। এতে আখেরে তাদের সুবিধা। ব্রিটিশের সেই ‘ভাগ করে ভোগ করার’ নীতি আর কি ! নির্বাচনের আগে কত গালভরা প্রতিশ্রুতি, তারপরে কি বলেছিলাম মনে নেই তো !
নীতি নয়, জনতা নয়, নেতাদের দৃষ্টি অন্যত্র। ক্ষমতালাভই একমাত্র লক্ষ্য। তাই দুর্নীতি তার সঙ্গী। তথাকথিত সব গণতান্ত্রিক দেশে দুর্নীতির চোরা স্রোত। গত শতকের ষাটের দশকে সেগ্যাল বলেছিলেন ভারতের দুর্নীতির কথা, তারপর গুনার মিরডাল ‘এশিয়ান ড্রামা’তে তার বিশদ বিবরণ দিলেন। ডালভাত হয়ে গেল দুর্নীতি। মন্ত্রী, মন্ত্রীর সচিব, মন্ত্রীর চামচে হাত সাফাইতে নিপুণ। ছিঁচকে চুরি থেকে পুকুর চুরি। নেতা-মন্ত্রীদের দেখাদেখি প্রশাসনিক কর্তা ও আমলারা জনতার গলা কাটতে শুরু করলেন। সকলেই হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে। অন্নপ্রাশন থেকে শ্রাদ্ধ, জমি ক্রয় থেকে গৃহ নির্মাণ- যে কোন অনুষ্ঠানে কিছু কিছু দিয়ে যেতে হয়। একে ঘুষ বললে মহামহিমদের অসম্মান করা হয়। ভালো বাংলায় বলতে হবে ‘উৎকোচ’। কিন্তু উৎকোচ দিয়েও কাজ হয় না সবসময়। লালফিতের বন্ধন। যার নাম আমলাতন্ত্র।
কাকে বলে জনমত ? জনতার মত হল জনমত। এই জনমত গণতন্ত্রের হাতিয়ার। ভালো কথা। জনমতের ধারক-বাহক-প্রকাশক হল গণমাধ্যম। কিন্তু তারা কি নিরপেক্ষ? নাকি তাদের টিকি বাঁধা আছে সরকারের কাছে অথবা ক্ষমতাশালী দলের কাছে তাই তারা তাদের মতকে জনমত বলে চালিয়ে দেয়। তাই এক ঘটনা এক এক মাধ্যমে বিচিত্ররূপে প্রতিভাত হয়। এক অঙ্গে এত রূপ দেখিনিতো আগে। ধরুন, মালিক-শ্রমিকের সংঘর্ষের একটা ঘটনা ঘটেছে। একটি মাধ্যমে তাকে মালিকের পাশবিকতা বলা হল। অন্য মাধ্যমে সেটা হল শ্রমিকের উচ্ছৃঙ্খলতা। কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা! কে ঠিক, কে বেঠিক!
যে সব নেতা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছেন, গণতন্ত্রের হাল ও পাল ধরে আছেন, তাঁদের ভাষণে আপনার পাগল হবার জোগাড়। প্রত্যেকেই নিজের সাফাই গেয়ে থাকেন, আত্মপক্ষ সমর্থনে চোখা চোখা যুক্তি হাজির করেন, পরিসংখ্যানের পাহাড় জমা করেন। শুনে মনে হয় তাঁরা সবাই ধোয়া তুলসীপাতা, ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির, দেশমাতার এক ও অদ্বিতীয় সেবক। তাঁদের নিজেদের মতকে জনমত বলে চালান দেওয়া হয়। সব দলের পেছনে জনমত আছে। জনমত নেই শুধু জনতার।
এরকম পরিস্থিতিতে গণতন্ত্রের ফুল ফুটতে পারে কি ?
ফুল না ফুটুক, ফুল ফোটার কল্পনা করতে দোষ কি! ফুল ফুটুক না ফুটুক বসন্ত জাগ্রত দ্বারে।
সেই কল্পনা নিয়ে আমরা আছি। তবে নেতাদের মুখে ঘনঘন গণতন্ত্রের কথা শুনতে শুনতে কখনও একটু বিরক্তি আসে। গাঁয়ের মুখ্যু চাষির মতো আমরা বলে ফেলি : গণতন্ত্র কে বাবু ! তারপর আবার ফিরে আসি সমে। তখন বুঝতে পারি গণতন্ত্র এক দুর্বোধ্য গ্যাঁড়াকলতন্ত্র।