দ্বিতীয়বার দেশের প্রধানমন্ত্রিত্বের আসনে বসার জন্য আগামী বৃহস্পতিবার শপথবাক্য পাঠ করবেন নরেন্দ্র মোদি। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন বরেণ্য ব্যক্তি, রাজনীতিক সহ বিধ্বের বিভিন্ন দেশপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ইসরাইল থেকে শুরু করে বাংলাদেশ বাদ যাচ্ছে না কোনও বন্ধু ভাবাপন্ন দেশ। তবে বাদ পড়ছে পাকিস্তান। লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জযের পর নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। নির্বাচনের আগে অবশ্য ইমরান বলেছিলেন নির্বাচনে মোদি ফের জিতলে তিনি খুশি হবেন। তাতেও মন গলেনি মোদির। যদিও প্রথমবারের প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেওয়অর সময় সেই ২০১৪ সালে মোদি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে।কিন্তু এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে। পুলওয়ামা হামলার পর থেকে সন্ত্রাস নিয়ে ভারত পাক চাপান উতোর তুঙ্গে। পাক সন্ত্রাসের জবাব বালাকোট হামলার মাধ্যমে দেওয়ার পর ভারত আরও কঠিন মনোভাব নিয়েছে। কোনওভাবেই পাকিস্তানের সঙ্গে আপস নয় এই মনোভাবে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি।তবে, অন্য প্রতিবেশী দেশগুলি সহ সার্ক দেশের নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানাতে ভোলেননি মোদি।
জানা গেছে, আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল এবং ভুটানের নেতাদের। পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কিরগিজস্তান ও মৌরিতিয়াসের নেতাদের। বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে না পারলেও বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ হাজির থাকবেন। ব্রাত্য শুধু পাকিস্তান। পাকিস্তান তাদের সন্ত্রাসী মনোভাব না পালটালে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও মৈত্রীতে যেতে রাজি নয়, তা স্পষ্ট করে দিলেন নরেন্দ্র মোদি।