আগের দিন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইপ এরদোগান জানিয়ে দিয়েছেন, তুরস্ক ও রাশিয়া যৌথভাবে এস-৫০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করবে। এর আগে তুরস্ক মস্কোর কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনেছে। রাশিয়ার কাছে থেকে তুরস্কের এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয়ের বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই আঙ্কারার সাথে ওয়াশিংটনের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। রাশিয়ার কাছ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র কিনলে তুরস্কের বিরুদ্ধে অবরোধ দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে ইস্তাম্বুলে এরদোগান বলেন, ‘তুরস্কের এস-৪০০ কেনা থেকে ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনাই নেই। এ ব্যাপারে চুক্তি হয়ে গিয়েছে। এস-৪০০-এর পর তারা যৌথভাবে এস-৫০০ তৈরি করবে।’ বিমানবিধ্বংসী এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি। এ ক্ষেপণাস্ত্রটি নিজেদের যুদ্ধবিমানের জন্য হুমকি মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে নিজেদের এফ-৩৫ বিমানের জন্য ক্ষেপণাস্ত্রটি হুমকি বলে মনে করে দেশটি। রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র একই সঙ্গে ৮০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম। তুরস্কের ক্ষেপণাস্ত্র কেনা নিয়ে উত্তেজনার ভেতর এরই মধ্যে দেশটির সঙ্গে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান-সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র চায়, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের বদলে তুরস্ক তাদের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয় করুক। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের ফলে তুরস্ক রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করছে। উল্লেখ্য, ন্যাটোভুক্ত ২৯ দেশের মধ্যে তুরস্কের সেনাবাহিনী দ্বিতীয় বৃহত্তম।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct