স্বপ্ন দেখে ছিলাম বিয়ের রাতের এই চরম মুহূর্তটা নিজের ভালবাসার মানুষের সাথে চরম উপভোগ করব। কিন্তু সেদিন আমার সেই সামর্থ ছিল না। বিয়ের দিন আমি খুব অসুস্থ ছিলাম। বিয়ের যাবতীয় ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করতে কষ্ট হচ্ছিলো আমার। রাতে যখন ঘরে ঢুকলাম আমি ক্লান্ত, অসুস্থ, পরিশ্রান্ত। কিন্তু সেই একটা রাতেই যেন সব স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেল। অসুস্থ শরীরটাকেই ছিঁড়ে খেল আমর স্বামী। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের পর আমি ভয়ে, ঘৃণায় কুঁকড়ে গেলাম। আর আমার স্বামী একটা বিশ্রী হাসি দিয়ে বলল 'বাহ! বেশ মজা তো’। কাহিনীটি দিল্লির এক তরুণী বৃন্দার। বিবাহিত জীবনে দেশের মহিলারা কিভাবে নৃশংসভাবে ধর্ষিত হন, তারই এক নজির বৃন্দা।সোশ্যাল মিডিয়ায় বৃন্দার এই খোলা চিঠি আলোড়ন ফেলেছে। আসলে তার উদ্দেশ্য সমাজের ভয়ে মুখ খুলতে না পারা এইসব অত্যাচারিত নারীদের জাগিয়ে তোলা। তাঁর প্রশ্ন, বিয়ে মানেই কী শুধু সহবাস? বৃন্দার লেখা খোলা চিঠিটি-
আমি সব সময় ভেবেছিলাম স্বামীকে খুব ভালবাসব। কিছুক্ষণ আগেও আমি পবিত্র ছিলাম। এক মুহূর্তে সব শেষ। আমি শুধু বললাম, তুমি এটা ঠিক করলে না। স্বামী বলল, 'আমি এই দিনটার জন্য অনেক দিন ধরেই অপেক্ষা করছিলাম।' তারপর আমাকে ঝাপ্টে ধরল, যেন মোটা দড়ি দিয়ে আমাকে বাধলো এবং রেগে গেল। বলল, ' তোমাকে এই মুহূর্তটা উপভোগ করতেই হবে। তুমি এখন আমার বউ'। অথাৎ, আমার যখন ইচ্ছা আমি তোমার সাথে সহবাস করব। যা করছি করতে দাও। আমি ভয়ে লজ্জায় কুকড়ে গেলাম। তারপর থেকে যতবার আমার দেহটাকে উপভোগ করত আমাকে অপমান করত। সবসময় শুধু সহবাস এর কথা বলতো, কোন গল্প করতো না। প্রত্যেকটা দিন আমি ধর্ষিত হতাম। আমার শরিরটা থাকত বিছানায় মনটা পড়ে থাকত অন্যখানে। আমি মাটির পুতুলের মত যা বলত শুনে যেতাম। ও আমায় রোজ বলত আমি ওর যোগ্য নই। আমার চাহিদাই নেই। আচ্ছা বিয়ে মানেই কি সহবাস? আমাদের সন্তানও হলো। তারপরও প্রতি রাতে চলতো ধর্ষণ। কেন জানি না, ও যখনই আমার উপড়ে শুতো আমি চলে যেতাম অনেক অনেক দূরে। একদিন ওকে বুঝালাম শুধু কি শরীরটাই সব? আমরা একে অপরের মনটাকে বুঝব না? একে অপরকে সম্মান করব না? তার কাছে বউ মানেই সুখ। কেন বোঝাতে পারলাম না একেই ধর্ষণ বলে।'