চক পাউডার, ফিটকিরি, চিনি, বার্নিশ কালার, ময়দা, রং দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ‘খাঁটি’ আখের গুড়। এমনি উপকরণে তৈরী ভেজাল গুড়ের একাধিক কারখানা পশ্চিমবঙ্গ সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় সিল করা হয়েছে। দেখতে গুড়ের মতো দেখালেও আসলে এসবই কৃত্রিম রং, চক পাউডার, ফিটকিরি আর চিনির মিশ্রণ। রমজান মাসে রোজাদারদের গুড়ের নামে এসব অখাদ্যই খাওয়াচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। রমজান মাসে আখের গুড়েরর শরবতের চাহিদা বেড়ে যায়। আর এই সুযোগ কাজে লাগাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের কিছু দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তিকে অর্থে ম্যানেজ করে অহরহ আখের ভেজাল গুড় তৈরী করে আসল আখের গুড় হিসেবে অধিক দামে তা বিক্রি করছে। এদিন জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার ভোক্তা অফিস ভোক্তা আইনের ৪২ ধারায় ওই ভেজাল গুড় ব্যবসায়ীকে জরিমানা এবং গুড় তৈরির মালামাল ধ্বংস করেছে। এ সময় জব্দকৃত ৫ বস্তা চিনি ও ৪ কুলা গুড় স্থানীয় একটি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক প্রামাণিকসহ প্রশাসনের সহায়তায় পাংশা উপজেলার মৈশালা তাপস পালের ভেজাল গুড়ের কারখানায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৫০ মণ ভেজাল গুড়, গুড় তৈরির চক পাউডার, ফিটকিরি, চিনি, বার্নিশ কালার, ময়দা, গুলানো রং জব্দ করে জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।