ইরাক ও কুয়েতে পাঠানো ১০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের তথ্য নেই মার্কিন সেনাবাহিনীর কাছে। ২০১৬ সালের মার্কিন সরকারের একটি অডিট প্রতিবেদনের উল্লেখ করে এমনটাই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আল-জাজিরাতে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, তথ্য প্রাপ্তির অধিকার আইনের মাধ্যমে মানবাধিকার সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এমনটাই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, কুয়েত ও ইরাকে মোতায়েন করা বিপুল পরিমাণ সামরিক অস্ত্র ও সরঞ্জামের অবস্থান সম্পর্কিত তথ্যের কোনও আপডেট নেই। বর্তমানে এই সমস্ত অস্ত্রের পরিমাণ সম্পর্কেও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে তথ্য নেই। অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, যেসব তথ্য আছে সেগুলোও পূর্ণাঙ্গ নয়। ফটোকপি করা তালিকা, হাতে লেখা রশিদ এবং কেন্দ্রীয় ডাটাবেজে তথ্য সংরক্ষণ না করায় প্রচণ্ড ভুল থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও মানবাধিকারবিষয়ক গবেষক প্যাট্রিক উইলকেন বলেন, এই অডিট প্রতিবেদনে অঞ্চলটিতে মার্কিন সেনাবাহিনীর মিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র নজরদারি ও ব্যবস্থাপনায় বিপজ্জনক দুর্বলতা বেরিয়ে এসেছে। এর আগে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে দাবি করেছিল, ইরাকে চেইন অব কমান্ডের ঘাটতি থাকার কারণে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর হাতে চলে গিয়েছে। উইলকেন আরও বলেন, এতদিন ধরে সতর্ক করার পরও একই ধরনের সমস্যা এখনো রয়ে গিয়েছে।
ইরাক ট্রেন অ্যান্ড ইকুইপ ফান্ড (আইটিইএফ)-এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্র কুর্দি ও উপজাতি নিরাপত্তাবাহিনীসহ ইরাকে ১৬০ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়েছিল আমেরিকা। এসব সামরিক সরঞ্জামের মধ্যে ছিল ছোট আগ্নেয়াস্ত্র, ভারী অস্ত্র, মেশিনগান, মর্টার রাউন্ড ও অ্যাসল্ট রাইফেল।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এসব সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছিল দেশটির জাতীয় সীমানা সুরক্ষা এবং আইএসকে প্রতিরোধ করতে। যদিও এ সহযোগিতা দেওয়া না হতো তাহলে ওই এলাকায় মার্কিন স্বার্থ ভূলুণ্ঠিত হত।
অন্যদিকে, মার্কিন সেনাবাহিনীর এতবড় গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়াতে রীতিমত কোনঠাসা মার্কিন ফোর্স। রাতারাতি এহেন খবরের পরেই মার্কিন সেনাবাহিনীর বিজ্ঞপ্তি, দ্রুত তাঁদের এই সমস্যা সমাধান করা হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct