পবিত্র রমজান মাসে টানা ১৪-১৫ ঘণ্টা না খেয়ে থাকতে হয় প্রতিটা মুসলিমকে। দিনের বেলা আমাদের শরীর যকৃৎ ও পেশিতে জমানো শর্করা ও ফ্যাট থেকে শক্তি লাভ করে। শরীরে জল জমা থাকে না। ঘাম ও প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যায়, জলশূন্যতা হয় বলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, দুর্বলতা দেখা দেয়। কাজে মনোযোগ দেওয়া যায় না। এ ছাড়া অ্যাসিডিটি, গ্লুকোজ কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয় রোজার মাসে।
ইফতারে আমরা অনেক বেশি খেয়ে ফেলি, ভাজা-ভুজি খাবারই বেশি থাকে। এ জন্য পেট ফাঁপা, বুক-গলা জ্বলা, বমি বমি ভাব হয়। পাকস্থলী ফাঁকা থাকার পর শুরুতেই অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার, তৈলাক্ত ও লবণাক্ত খাবার খেলে অ্যাসিডিটি তো বাড়বেই, সঙ্গে জলের তৃষ্ণা এবং খিদে বাড়িয়ে দেয়। ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত তাই উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার, ফল, সবজি, বাদাম এবং জলকে প্রাধান্য দিতে হবে। ইফতারে এমন খাবার রাখবেন, যাতে প্রাকৃতিক চিনির জোগান থাকে এবং যা দ্রুত শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। যেমন জল, ফলের শরবত, স্মুথি, দুধ। এছাড়া খেজুর, এতে শর্করা ও খনিজ পদাথ থাকে।ইফতারে ফল ডিহাইড্রেশন দূর করে। বিশেষ করে জলজাতীয় ফল যেমন তরমুজ, আনারস, কমলা, মাল্টা, নাশপাতি খান। দই খেতে পারেন। দইয়ে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়োডিন ও ভিটামিন ডি থাকে, সহজে খাবার হজম করে। ইফতারে তাই দই, চিড়া-মুড়ি মাখানো। রান্না ছোলার থেকে কাঁচা ছোলায় পুষ্টিগুণ বেশি। রান্না করলে যে তেল মসলা খাওয়া হতো, সেটা থেকেও বাঁচা যায়। ছোলায় ভিটামিন, খনিজ লবণ, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস ও উচ্চ প্রোটিন রয়েছে। শরীরে শক্তির জোগান দিতে এর কোনো বিকল্প নেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct