কেরলের একটি মুসলিম স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনও ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক কিংবা কর্মচারীকে বোরখা পরে কিংবা মুখ ঢেকে আসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কোঝিকোড় ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মুসলিম এডুকেশন সোসাইটির সভাপতি ডা. পিএ ফজল গফুর জানিয়েছেন, তাদের পরিচালিত যত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে সেখানে ছাত্রীদের ক্লাসের মধ্যে বোরখা বা ভেল পরে আসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হযেছে।গত ১৭ তারিখে জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী ২০১৯-২০ বর্ষ থেকে চালু হয়ে যাবে পোশাক বিধি। ফজল গফুর জানিয়েছেন, হাই কোর্টের নির্দেশ আছে, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাদের নিজেদের মতো পোশাক বিধি চালু করতে পারবে। তাই ধর্মীয় ভাবাবেগের বাইরে গিয়ে বোরখা পরে ক্লাস করায় নিষেধাজ্ঞা জারি।তবে শুধু ছাত্রীদের ক্ষেত্রে নয়, সমস্ত শিক্ষক ও কর্মীদের প্রতি এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মুসলিম এডুকেশন সোসাইটির পরিচালনায় একটি মেডিক্যাল কলেজ আছে কেরলে। এছাড়া কেরলে ও মধ্যপ্রাচ্যে তাদের পরিচালিত প্রায় ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে এই নির্দেশিকা জারি করায় ফজল গফুরকে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে এনডিটিভিকে বলেছেন, পুরুষ কণ্ঠে ফোনে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তবে, তাতে তিনি নির্দেশিকা প্রত্যাহার করবেন না বলে জানিয়েছেন। যদিও বহু মুসলিম ব্যক্ত্বি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বোরখা নিষিদ্ধের প্রতিবাদ করেছেন। তাদের মতে, এই সিদ্ধান্ত মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতাকে খর্ব করবে।