গত রবিবার শ্রীলংকায় গির্জা ও হোটেলে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় এ পযন্ত বহু নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।যদিও ওই হামলার পর ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত (এনটিজে) নামে একটি ইসলামী সংগঠনের নাম আসার পর চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন শ্রীলঙ্কার মুসলিমরা। অনেকেই তাদের ভাবমূর্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। হামলার পরই এর তীব্র নিন্দা ও শোক প্রকাশ করেছেন শ্রীলংকার অল সিলন জামিয়াতুল ওলামা প্রধান রিজভী মুফতি। ওই হামলার পর তিনি শ্রীলংকার আর্চ বিশপ ম্যালকম কার্ডিনাল রঞ্জিতের সঙ্গে দেখা করে এ সমবেদনা জানান। এ সময় কয়েকজন মুসলিম মন্ত্রী ও এমপি তার সঙ্গে ছিলেন। রিজভী মুফতি বলেন, 'আমাদের খ্রিস্টান ভাইবোনদের ওপর নৃশংস ও ন্যক্কারজনক এ হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।' শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন শহরের মসজিদে নামাজের সময় দেখা যাচ্ছে ২০-২৫ জন সশস্ত্র পুলিশ মসজিদ পাহারা দিচ্ছে। এ বিষয়ে সেখানকার বহু মুসলিমরা বলছেন, 'মসজিদের ভিতরের মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে মনে হলো তারা যতটা না আতঙ্কগ্রস্ত, তার চেয়ে বেশি লজ্জিত ও দুঃখিত। তারা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে, তাদের সম্প্রদায়ের কেউ দেশের ভেতরে এ ধরনের হামলা করতে পারে।' কলম্বোতে মুসলিম সংগঠন ন্যাশনাল শূরা কাউন্সিলের এক কর্মকর্তা আজমান আবদুল্লাহ বলেন, 'আতঙ্কের চেয়ে মুসলিমরা 'ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত। আতঙ্ক যে একবারেই নেই তা বলব না, নানা ধরনের গুজব শোনা যাচ্ছে। তবে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের খ্রিস্টান ভাইয়েরা বুঝতে পারছেন যে শ্রীলংকার মুসলিমরা কোনোভাবেই তাদের ক্ষতি চায় না।' এই মুহূতে সেখানকার শীর্ষস্থানীয় মুসলিম নেতারা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মসজিদে মসজিদে ব্যানার ঝোলানো হয়েছে। শুধু মুসলমান হিসেবে নয়, শ্রীলংকার নাগরিক হিসেবে তারা আজ উদ্বিগ্ন দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct